Monday, September 8, 2025
spot_img
Homeটেলিকমসবুজ জ্বালানি ব্যবহার করে ডেটা সেন্টার চালু করল বাংলালিংক

সবুজ জ্বালানি ব্যবহার করে ডেটা সেন্টার চালু করল বাংলালিংক

পরিবেশবান্ধব উপায়ে টেকসই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সমাজের ক্ষমতায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দেশের শীর্ষস্থানীয় উদ্ভাবনী ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক। নিজেদের এ প্রতিশ্রুতি পূরণের ধারাবাহিকতায়, গাজীপুরে সৌরবিদ্যুচ্চালিত ডেটা সেন্টার চালু করেছে অপারেটরটি। গাজীপুরে নিজেদের ডেটা সেন্টারে ৮০ কিলোওয়াট সৌরবিদ্যুৎ সোলার পাওয়ার সিস্টেম ইনস্টল করে দেশের প্রথম মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর (এমএনও) হিসেবে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহার করে ডেটা সেন্টার চালু করল বাংলালিংক।

এ উদ্যোগ বাংলালিংকের ইএসজি যাত্রায় এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা টেলিযোগাযোগ খাতে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করা ও টেকসই অবকাঠামো গঠনে বাংলালিংকের প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন। টেকসই ও পরিবেশবান্ধব সেবাদানের লক্ষ্যপূরণে, বাংলালিংক দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে ধারাবাহিকভাবে বিনিয়োগ করছে; আর এক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত অগ্রগতির পাশাপাশি পরিবেশের প্রতি নিজেদের দায়বদ্ধতাকে সমানভাবে অগ্রাধিকার দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

বাংলালিংকের চিফ টেকনোলজি অ্যান্ড ইনফরমেশন অফিসার হুসেইন তুর্কের বলেন, “সবুজ এ উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলালিংক টেকসই উদ্ভাবনের যাত্রায় বাংলাদেশে নতুন মানদণ্ড তৈরি করেছে, যা পরিবেশের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমাদে এ সৌর বিদ্যুৎ ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিবছর প্রায় ০.১৩ জিডব্লিউএইউচ (গিগাওয়াট ঘণ্টা) সবুজ জ্বালানি উৎপন্ন হবে। এর ফলে, প্রতিবছর ৬০ টন কার্বন নিঃসরণ কম হবে এবং জ্বালানির ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রতিবছর প্রায় ১২,৬০০ মার্কিন ডলার ব্যয় সাশ্রয় হবে। ছাদের অব্যবহৃত ৯ হাজার বর্গফুট জায়গায় এ সৌর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ইনস্টল করা হয়েছে। এক্ষেত্রে, আমরা প্রত্যাশা করছি, দ্রুতই প্রকল্পে বিনিয়োগের পুরো খরচ উঠে আসবে।  বাংলালিংক ভবিষ্যতে অব্যবহৃত আরও স্থান কাজে লাগিয়ে সবুজ জ্বালানি উৎপাদন বৃদ্ধিতে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করবে। আমরা মনে করি, পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব কমানোর পাশাপশি নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি, টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা ও কার্বন ফুটপ্রিন্ট হ্রাসে সবার এগিয়ে আসা উচিত।”

সর্বোচ্চ জ্বালানি উৎপাদন ও কার্যকারিতা নিশ্চিতে কঠোর মূল্যায়ন ও কৌশলগত পরিকল্পনার মাধ্যমে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে। এ উদ্যোগ দেশের এনার্জি এফিশিয়েন্সি অ্যান্ড কনজারভেশন মাস্টারপ্ল্যান ২০৩০ (ধারা ২.১.৩ (২)) -এর টেকসই ভিত্তি স্থাপনে বাংলালিংকের লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এর পাশাপাশি, অপারেটরটির এ উদ্যোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার নীতিমালা মেনে চলার ক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করবে এবং প্রতিষ্ঠানটির অবকাঠামোকে ভবিষ্যৎ উপযোগী করে গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে। একইসাথে, এ উদ্যোগ প্রতিষ্ঠানটির নেটওয়ার্ক পরিচালনা থেকে ডেটা ব্যবস্থাপনা ও জ্বালানি ব্যবহার, ডিজিটাল অবকাঠামোর প্রতিটি ধাপে টেকসই ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে নিজেদের লক্ষ্যপূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলালিংক কার্বন নিঃসরণে ও সামগ্রিকভাবে পরিবেশের ওপর নিজেদের কার্যক্রমের প্রভাব কমানোর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানকে ভবিষ্যৎ উপযোগী করে তোলা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির যাত্রায় একধাপ এগিয়ে গিয়েছে। পরিবেশবান্ধব অপারেটর হওয়ার যাত্রায় প্রতিশ্রুতি পূরণের পাশাপাশি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি মডেল ব্যবহারের উদ্বুদ্ধ করছে বাংলালিংক, যা এ খাতে সবুজ প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

সময়োপযোগী এ উদ্যোগ গ্রহণ করে পরিবেশগত প্রভাব কমানোর লক্ষ্যপূরণে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল বাংলালিংক। ব্যবসা ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা তৈরির পাশাপাশি পরিবেশের সুরক্ষা এবং একইসাথে ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণ ও টেকসই উন্নয়ন সম্ভব; দেশের প্রথম মোবাইল অপারেটর হিসেবে সবুজ জ্বালানি ব্যবহার করে ডেটা সেন্টার চালুর মাধ্যমে তাই প্রমাণ করল বাংলালিংক।

spot_img
আরও পড়ুন
- Advertisment -spot_img

সর্বাাধিক পঠিত

spot_img