Sunday, June 15, 2025
spot_img
Homeপ্রযুক্তি সংগঠনবেসিস পরিচালনা পর্ষদ বাতিল এবং প্রশাসক নিয়োগ প্রসঙ্গে প্রাসঙ্গিক ব্যাখ্যা

বেসিস পরিচালনা পর্ষদ বাতিল এবং প্রশাসক নিয়োগ প্রসঙ্গে প্রাসঙ্গিক ব্যাখ্যা

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) পরিচালনা পর্ষদ বাতিল এবং প্রশাসক নিয়োগ বিষয়ে বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগ থেকে প্রাপ্ত চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বেসিস কার্যনির্বাহী পরিষদ ২০২৪-২৬ এর পক্ষ থেকে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে কয়েকটি তথ্যের ব্যাখ্যা প্রদান করেছে।  

বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগের ২৬.০০.০০০০.১৫৭.৩৩.০২৮.৯৮.৭৯৫ নং স্মারক অনুযায়ী ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে। উক্ত আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ এবং সহ-সভাপতি (অর্থ) ইকবাল আহমেদ ফখরুল হাসানের পদত্যাগপত্র ডিটিও-তে কাছে প্রেরিত হয়নি।

এখানে উল্লেখ্য যে, গত ২৪ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে স্মারক নং বেসিস/ডিটিও/৯৬৪৯/২৪-এর মাধ্যমে বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয় যে, উক্ত ব্যক্তিবর্গ বেসিস পরিচালনা পর্ষদ থেকে ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছেন। পুনরায় ১০ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে স্মারক নং বেসিস/ডিটিও/৯৬৬৯/২৪-এর মাধ্যমে উক্ত পদত্যাগ বিষয়ে বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগকে অবহিত করা হয়। ১৮ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে স্মারক নং বেসিস/ডিটিও/শুনানি/৯৬৭৯(৩)/২৪-এর মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তিন পৃষ্ঠার একটি বিশদ বিবরণ জমা দেওয়া হয়, যেখানে পদত্যাগপত্রসহ প্রাসঙ্গিক দলিল সংযুক্ত ছিল। পাশাপাশি, ৩০ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত ৩৩২তম নির্বাহী পরিষদ সভায় নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং বিষয়টি যথাযথভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

বর্ণিত অফিস আদেশের অপর একটি অনুচ্ছেদে রাসেল টি আহমেদের শুনানিতে অনুপস্থিতি এবং কোনো জবাব প্রদান না করার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এটি পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, উক্ত শুনানির সময়কালীন রাসেল টি আহমেদ বেসিস পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন না। তিনি ১৭ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেন, যা যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। ফলে, পদত্যাগের পর পরিচালনা পর্ষদে তার আর কোনো আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব বা ভূমিকা না থাকায় উক্ত শুনানিতে তার উপস্থিতি বা সংশ্লিষ্টতার প্রয়োজনীয়তা ছিল না।

এছাড়া, অফিস আদেশে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের কার্যক্রমে সমন্বয়হীনতার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা অমূলক এবং বেসিস-এর কার্যক্রম পরিচালনার দক্ষতা ও স্বচ্ছতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে । বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ গত চার মাসে ১০০টিরও বেশি মিটিং, সেমিনার এবং কর্মশালা অত্যন্ত সফলভাবে আয়োজন করেছে। প্রতিটি কার্যক্রম অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য এবং সময়োপযোগী পরিকল্পনার আলোকে বাস্তবায়িত হয়েছে।

বেসিস কার্যনির্বাহী পরিষদ ২০২৪-২৬ এর পক্ষ থেকে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে কয়েকটি তথ্যের ব্যাখ্যা আজ ডিটিও বরাবর ইমেইলের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়েছে। উপরিউক্ত সকল বিষয়ের তথ্য উপাত্ত বেসিস সচিবালয়ে সংরক্ষিত আছে।

spot_img
আরও পড়ুন
- Advertisment -spot_img

সর্বাাধিক পঠিত

spot_img