নতুন বছরকে সামনে রেখে বেশ কিছু পরিবর্তন আনছে ক্যসপারস্কি। এরইমধ্যে ২০২৫ সালের সাইবার নিরাপত্তা খাতে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পূর্বাভাস প্রকাশ করেছে ক্যাসপারস্কি। আগামী বছর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্ম দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য উপাদান হয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেছে ক্যাসপারস্কির সিকিউরিটি বুলেটিন। তবে, অত্যাধুনিক ডিপফেকের মতো চ্যালেঞ্জের বিষয়েও এড়ানো যাচ্ছে না।
জেনারেল ডাটা প্রটেকশন রেগুলেশন (জিডিপিআর) এবং ক্যালিফোর্নিয়া প্রাইভেসি রাইটস অ্যাক্ট (সিপিআরএ) এর সহায়তায় গোপনীয়তা সুরক্ষার নীতি আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে ব্যবহারকারীরা ডাটা মনিটাইজেশন ও ডাটা ট্র্যান্সফার নির্বিঘ্নে করতে পারবে। একইসাথে, ডিসেন্ট্রালাইজড ডাটা স্টোরেজ ব্যবস্থায় তথ্যের উপর নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি পাবে। সাইবার অপরাধীরা বড় গেম বা সিনেমার রিলিজকে (যেমন- ‘সিভিলাইজেশন ভি টু’ বা ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’) কেন্দ্র করে ফিশিং ও ভুয়া প্রি-অর্ডারের মাধ্যমে প্রতারণা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়াও, এআই টুলসগুলো রাজনৈতিক মেরুকরণ এবং বিশ্বব্যাপী সাইবার বুলিং বাড়িয়ে তুলতে পারে। সাবস্ক্রিপশন-ভিত্তিক পরিষেবার ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার কারণে ভুয়া প্রমোশন এবং নকল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তথ্য চুরি ও ম্যালওয়্যারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া সম্প্রতি ১৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব দিয়েছে যা বিশ্বব্যাপী এক অনন্য উদাহরণ হতে পারে। তবে সেখানে এআই-ভিত্তিক এজ ভেরিফিকেশন সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
ক্যাসপারস্কি’র প্রাইভেসি বিশেষজ্ঞ আন্না লারকিনা বলেন, “২০২৫ সাল সাইবার নিরাপত্তা খাতে উদ্ভাবন এবং আরোপিত নিয়ম-কানুন ব্যবহারকারীদের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, গোপনীয়তা সুরক্ষা ও ডেটা মালিকানা (ডাটা ওনার্শিপ) কাঠামোর উন্নতি প্রযুক্তির সাথে মানুষের যোগাযোগ এবং তাদের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডকে পুনর্গঠন করবে। এই অগ্রগতি সাইবার জগতকে আরও সুরক্ষিত করবে, তবে এটি নিশ্চিত করতে ব্যবহারকারীদের স্বার্থে কাজ করে এমন সতর্ক নজরদারি প্রয়োজন।”