নিউ এনার্জি ভেহিকল (এনইভি) চালানোর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়াতে বাংলাদেশের ড্রাইভারদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করতে যাচ্ছে শীর্ষস্থানীয় বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বিওয়াইডি।
দেশের অটোমোবাইল খাতে এনইভি তুলনামূলক নতুন হওয়ায়, এ ধরণের গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে ড্রাইভারদের সরাসরি অভিজ্ঞতা নেই। অভিজ্ঞতার এ ঘাটতি পূরণে বিওয়াইডি’র এ প্রশিক্ষণ উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। একইসাথে, এই এনইভি ড্রাইভিং দক্ষতা দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি, বাংলাদেশের শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য কার্বন নিঃসরণের লক্ষ্য পূরণকে আরও কার্যকরভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
‘বিল্ড ইওর ড্রিমস এনইভি (নিউ এনার্জি ভেহিকল) ট্রেইনিং ২০২৪’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যে ক্যাম্পেইনটি বাংলাদেশের ড্রাইভারদের জন্য এনইভি’র প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক সম্পর্কে জানার এক অনন্য সুযোগ।
এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির জন্য ড্রাইভার নিয়োগ প্রক্রিয়া আজ (১৯ ডিসেম্বর) শুরু হয়ে আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। বিওয়াইডি প্রতিনিধিরা রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে চালকদের নিয়োগ করবেন। নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামী ৩ জানুয়ারি। আগ্রহী ব্যক্তিরা সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর বিওয়াইডি সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটি আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতি শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। বিওয়াইডি সার্ভিস সেন্টারের বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষকরা প্রশিক্ষণ সেশন পরিচালনা করবেন। তারা এনইভি (ইলেকট্রিক ও হাইব্রিড) গাড়ি চালানোর মৌলিক বিষয়গুলোর পাশাপাশি এবং দক্ষতার সাথে এনইভি চালানোর কৌশলগুলো শেখাবেন। অংশগ্রহণকারীরা বিওয়াইডি সিলায়ন ০৬ মডেলের ফিচারগুলো সম্পর্কে জানার পাশাপাশি এ বিষয়ে হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে এনইভি নিয়ে তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক জ্ঞান প্রদান করা হবে এবং প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহনকারী প্রত্যেক ড্রাইভারকে সনদ প্রদান করা হবে। যা দেশে ও দেশের বাইরে, যেখানে এনইভি প্রচলিত রয়েছে সেখানে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
এ নিয়ে বিওয়াইডি বাংলাদেশের হেড অব বিজনেস আমিদ সাকিফ খান বলেন, “দেশে এনইভি’র গ্রহণযোগ্যতা বায়ু ও পরিবেশের মানোন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। আর এজন্য আমাদের একেবারে মূল জায়গা থেকেই শুরু করতে হবে। ড্রাইভারদের এনইভি সম্পর্কে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে তারা এ গাড়িগুলো সম্পর্কে প্রয়োজনীয় ধারণা অর্জন করতে পারবেন এবং রাস্তায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবেন। এছাড়াও, এ উদ্যোগটি এনইভি গাড়ির সাথে তাদের পরিচিত করাবে এবং আরও বেশি মানুষ এ টেকসই বিকল্পটি গ্রহণে আগ্রহী হবেন। আমাদের প্রত্যাশা, এ উদ্যোগ এনইভি ব্যবহারে আরো বেশি মানুষকে উৎসাহিত করবে এবং শূন্য কার্বন নিঃসরণে বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। একইসাথে, এ উদ্যোগ অংশগ্রহণকারী চালকদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে। আমরা দেশের সমৃদ্ধ আগামী নিশ্চিতে বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণ কমানোর ক্ষেত্রে যথেষ্ট আশাবাদী।”