Sunday, June 22, 2025
spot_img
Homeইভেন্টবিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৫: আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণ ও অপার সম্ভাবনা

বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৫: আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণ ও অপার সম্ভাবনা

২১ ও ২২ জুন ২০২৫ তারিখে ঢাকার সেনাপ্রাঙ্গণে সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় আউটসোর্সিং সম্মেলন ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৫’। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ কন্ট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো)-এর আয়োজনে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিজনেস প্রোমোশন কাউন্সিলের যৌথ সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এই সামিট বিপিও ও আইটিইএস খাতকে এগিয়ে নেওয়ার এক বাস্তব মঞ্চ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।      

২০১৫ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে আয়োজিত এই সামিটের এবারের প্রতিপাদ্য ছিল “BPO 2.0: Revolution to Innovation”, যা বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় রূপান্তর ও প্রযুক্তিনির্ভর ভবিষ্যতের ইঙ্গিত বহন করে। এবারের সম্মেলনে দেশি ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ৩০টিরও বেশি আইটিইএস/বিপিও প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শনের সুযোগ পায়। দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে আয়োজন করা হয় নয়টি থিমভিত্তিক সেমিনার ও কর্মশালা, যেখানে অংশ নেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ, কর্পোরেট নেতৃবৃন্দ, সরকারী প্রতিনিধি ও তরুণ উদ্যোক্তারা। আলোচনায় উঠে আসে সাইবার নিরাপত্তা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ভবিষ্যতের কর্মসংস্থান, স্কিল ডেভেলপমেন্ট, এবং তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালার আধুনিকীকরণসহ বিভিন্ন বিষয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে আয়োজিত বিভিন্ন সেমিনারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং আলোচিত সেশন ছিল “Global Partnerships & the Future of Outsourcing: Challenges and Opportunities”, যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশের খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী জনাব আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশের বিপিও শিল্প কেবল সম্ভাবনার কথা বলে না—এটি আজ বাস্তব রপ্তানি সক্ষমতা অর্জন করেছে। আমাদের এখনই প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট কৌশল, আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে গভীর সহযোগিতা, এবং নীতিনির্ভর দক্ষ জনশক্তি তৈরি। এসবের সমন্বয়ে আমরা আগামী দশকে বিপিও খাতকে দেশের রপ্তানির মূল চালিকাশক্তিতে পরিণত করতে পারি।”

সেমিনারটিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক প্রতিনিধি ও আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থার নীতিনির্ধারকরা, যারা বৈশ্বিক আউটসোর্সিং প্রবণতা, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির কৌশল, আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সিস্টেম সহজীকরণ, এবং রপ্তানিমুখী প্রযুক্তি সেবা খাতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেন। তাঁরা বলেন, একটি দেশ যখন বৈশ্বিক অংশীদারদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়, তখন সেই দেশের সেবা রপ্তানি খাতও বিশ্বমঞ্চে একটি স্থায়ী অবস্থান তৈরি করতে পারে।

‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৫’ শুধু একটি সম্মেলন নয়, বরং এটি ছিল বাংলাদেশের আউটসোর্সিং খাতকে একটি শক্তিশালী, নীতিনির্ভর ও প্রযুক্তিভিত্তিক রপ্তানি শিল্পে পরিণত করার সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ। আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং দক্ষ মানবসম্পদের সমন্বয়ে সামিটটি দেশের বিপিও শিল্পকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর পথরেখা হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

spot_img
আরও পড়ুন
- Advertisment -spot_img

সর্বাাধিক পঠিত

spot_img