Wednesday, April 24, 2024
spot_img
Homeবিশেষ প্রতিবেদনবর্তমান অর্থ বছরের ১৭টি অনুষ্ঠান বাতিল করল আইসিটি বিভাগ

বর্তমান অর্থ বছরের ১৭টি অনুষ্ঠান বাতিল করল আইসিটি বিভাগ

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ২০২২-২৩ অর্থ বছরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত ও অনুষ্ঠেয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও কর্মসূচি বিষয়ক একটি প্রেস ব্রিফিং আয়োজন করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। ১৭ নভেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার অনলাইনে আয়োজিত এই প্রেস ব্রিফিংয়ে সংবাদ মাধ্যমকে ব্রিফ করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি।

প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন যে বাংলাদেশ প্রযুক্তিগত দিক থেকে উন্নতি লাভ করছে। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন অর্জনে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করে আইসিটি বিভাগ। করোনাকালীন সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশ ও একটি অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। একই সাথে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে সারা বিশ্বে একটি অর্থনৈতিক সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। এর ফলে সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি-সহ নানারকম অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় বিভিন্ন দেশ। এমতাবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এঁর সুপরামর্শে বাংলাদেশও তার রাষ্ট্র পরিচালনায় নতুন কৌশল অবলম্বন করে। এরই আলোকে দেশের প্রতিটি মন্ত্রণালয় তাদের নিজস্ব পরিচালনা কৌশলে পরিবর্তন আনতে শুরু করে।

 তিনি আরো বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান, ইভেন্ট অংশগ্রহণ করাসহ আয়োজন করে থাকে। ২০২১-২২ অর্থবছরেও বিভিন্ন রকম আয়োজন অন্তর্ভুক্ত থাকে। কিন্তু বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এবং রাষ্ট্র পরিচালনার বিশেষ কৌশল এর আলোকে উক্ত বিভাগের বিভিন্ন কার্যক্রমে যথেষ্ট ব্যয় সংকোচনসহ নিয়মিত ক্যাম্পেইন, ইভেন্ট বা অনুষ্ঠান আয়োজনে কিছুটা পরিবর্তন আনে।

প্রতিমন্ত্রী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ফ্ল্যাগশীপ অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য আয়োজনগুলোর গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০২২, ডিজিটাল ডিভাইস এন্ড ইনোভেশন এক্সপো, বিপিও সামিট, ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ, ন্যাশনাল হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, ১৬তম ইন্টারন্যাশনল চিল্ড্রেনস ফিল্ম ফেসটিভাল, ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন আইটি (ডব্লিউসিআইটি), বাংলাদেশ ইন্ডিয়া স্টার্টআপ এক্সচেঞ্জ, জাপান আইটি উইক, চ্যানেল আই ডিজিটাল বাংলাদেশ মিডিয়া এওয়ার্ড, রোডসো দুবাই/লন্ডন ব্রান্ডিং, ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো (জাপান, ইন্ডিয়া, ইউকে, আমেরিকা, ইউরোপ অন আইসিটি), কনফারেন্স অন ইন্টারেকশন অ্যান্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজারস ইন এশিয়া (সিআইসিএ) অন বাংলাদেশ, টেক কার্নিভাল, বিজয় দিবসের যান্ত্রিক বহরে ব্রান্ডিং, বুয়েট সিএসই ফেস্ট এবং আইসিটি জাম্বুরী (বাংলাদেশ স্কাউট) আয়োজনগুলোর মধ্য থেকে উল্লেখিত কয়েকটি ইভেন্টের জন্য ইতোমধ্যে ইওআই ও ওটিএম আহবান করা হয়েছিল। বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ইভেন্টসমূহ এ বছর বাতিল করা হয়েছে। তবে জাতীয় দিবস বিবেচনায় “ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস” সীমিত পরিসরে আয়োজন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ভুল বশত বা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে গত ১৫ নভেম্বর ২০২২ তারিখে একটি দৈনিক পত্রিকা প্রথমআলো-তে “চলতি অর্থবছরে অনুষ্ঠানের জন্য ৭৫ কোটি টাকা চেয়েছে আইসিটি বিভাগ” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয় যা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের নজরে আসে। উক্ত সংবাদটির শিরোনাম ও ভেতরে বর্ণনা অর্থাৎ উল্লেখিত তথ্যাদি পাঠক কিংবা জনসাধারণের নিকট ভুলভাবে উপস্থাপিত হতে পারে বা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে বিধায় সংবাদ মাধ্যমকে সম্পূর্ণ বিষয়টি ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন বোধ করায় উক্ত প্রেস ব্রিফিংটি আয়োজন করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী পলক আরো জানান যে উল্লেখিত অনুষ্ঠানগুলোর জন্য মোট বাজেট ছিল ৭৫ কোটি টাকা। দেশের স্বার্থে ও জনগণের স্বার্থে ১৭টি অনুষ্ঠান বাতিল করার ফলে উক্ত বাজেটের মধ্য থেকে প্রায় ৪০ কোটি টাকা ফেরৎ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস ঢাকা আয়োজন না করা হলে উক্ত আয়োজনের প্রায় ৩০ কোটি টাকাই ফেরৎ দেওয়া সম্ভব হত। কিন্তু ২০১৭ সালে আইসিপিসি আয়োজনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয় যার ফলে সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ দায়বদ্ধ বিধায় বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের সম্মান অটুট রাখার জন্য প্রোগ্রামিংয়ের বিশ্বকাপ নামে খ্যাত উক্ত আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে আইসিটি বিভাগ। বর্তমান বৈশ্বিক মন্দার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সামগ্রিকভাবে ব্যয়ের পরিমাণ হ্রাসকরণে সচেষ্ট।

spot_img
আরও পড়ুন
- Advertisment -spot_img

সর্বাাধিক পঠিত

spot_img