আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি সম্প্রতি তাদের ফ্ল্যাগশিপ ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি প্রোগ্রাম ‘দ্য আনবাউন্ডারস’-এর মাধ্যমে ১২ জন মেধাবী তরুণকে নিয়োগ দিয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে আইপিডিসি বাংলাদেশের লক্ষ্য আর্থিক খাতে তরুণদের প্রতিভা বিকাশের পাশাপাশি ভবিষ্যতের নেতৃত্ব গড়তেও সহায়তা করা।
নতুন ‘আনবাউন্ডার’দের নির্বাচিত করা হয়েছে কয়েকটি কঠোর ধাপের পরীক্ষার মাধ্যমে, যেখানে ছিল যোগ্যতা পরীক্ষা, কেস বিশ্লেষণ, প্যানেল সাক্ষাৎকার এবং নেতৃত্বের দক্ষতা যাচাই।
এই বছরের ব্যাচটি বিশেষ, কারণ তারা ভিন্ন ভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছে, একাডেমিক ফলাফল চমৎকার এবং নেতৃত্বের গুনাবলী রয়েছে। নতুন ‘আনবাউন্ডার’রা দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসেছেন এবং সঙ্গে এনেছেন বিভিন্ন অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গি, যা আইপিডিসি’র মূল্যবোধ সততা, গ্রাহককেন্দ্রিকতা, সহযোগিতা এবং ধারাবাহিক উন্নয়ন-এর সঙ্গে মানানসই।
আইপিডিসি প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিমের সদস্যরা। তারা নতুন ট্রেইনিদের আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান। কর্মকর্তারা এ প্রোগ্রামের গুরুত্ব তুলে ধরেন, যা দেশের আগামী প্রজন্মের আর্থিক পেশাজীবীদের গঠনে সাহায্য করবে, এবং ‘আনবাউন্ডার’দের আইপিডিসি-র উদ্ভাবনী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও নৈতিক মানসম্পন্ন সংস্কৃতিতে স্বাগত জানান।
‘দ্যা আনবাউন্ডারস’ প্রোগ্রাম তরুণ পেশাজীবীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ প্রশিক্ষণ। এতে তারা প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন বিভাগে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করবে, বাস্তব প্রকল্পে অংশগ্রহণ করবে, সিনিয়র কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পরামর্শ পাবে এবং বিশেষ ওয়ার্কশপে অংশ নিয়ে তাদের প্রযুক্তিগত, বিশ্লেষণাত্মক ও ব্যবস্থাপনার দক্ষতা আরও শক্তিশালী করবে।
এই প্রশিক্ষণ পদ্ধতির মূল উদ্দেশ্য হলো ‘আনবাউন্ডার’দের এমন জ্ঞান, বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং নেতৃত্বের ক্ষমতা দিয়ে তৈরি করা, যা তাদের বাংলাদেশে পরিবর্তনশীল আর্থিক খাতে সফলভাবে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
এ উপলক্ষ্যে আইপিডিসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর রিজওয়ান দাউদ সামস বলেন, “এই মেধাবী তরুণদের আইপিডিসি পরিবারের অংশ হিসেবে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। তাদের উদ্যম, কৌতূহল এবং উদ্ভাবনী চিন্তাধারা আমাদের নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে এবং আমাদের লক্ষ্য বাস্তবায়নে সহায়ক হবে বলে আমি আশা করি।”
তিনি আরও বলেন যে, “আইপিডিসি তার কর্মীদের প্রতিভা বিকাশের ধারাবাহিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের অনেক বর্তমান সিনিয়র কর্মকর্তা তাদের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন এমনই গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের মাধ্যমে, যা আইপিডিসি-র দীর্ঘদিনের অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন ও নেতৃত্ব গঠনের প্রতিশ্রুতি প্রমাণ করে।”
এর মাধ্যমে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি আবারও নিশ্চিত করল যে, তারা তরুণদের ক্ষমতায়ন, নেতৃত্ব গঠন এবং বাংলাদেশের আর্থিক সেবা খাতের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নে অবদান রাখতে সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রতিষ্ঠানটি নতুন এই ‘আনবাউন্ডারস’ ব্যাচ আইপিডিসি-র টেকসই প্রবৃদ্ধি, উদ্ভাবন এবং সমাজে ইতিবাচক প্রভাব তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে।



