নেডারল্যান্ডসে আইন্ডহোভেনে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে ডাচ ‘ডিজাইন সপ্তাহ-২০২২’ নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বাংলাদেশ হতে এপেক্স লেদার, ওয়ালটন, এসিআই, নারিশ, বেনিবুননের মতো শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য উদ্যোক্তাগন অংশগ্রহণ করে। তারা এই ডিজাইন সপ্তাহে যুক্ত ১৫০০ উদ্ভাবনী ডিজাইনারদের মধ্যে অনেকের সাথে মতবিনিময় করেন।
প্রতি বছর শত শত ডিজাইনার ইউরোপের অন্যতম বৃহত্তম এই ডিজাইন ইভেন্টে মিলিত হন যেখানে উদীয়মান ডিজাইন, উদ্ভাবন, নতুন উপকরণ, টেকসই ধারণাগুলো ইউরোপ এবং তার বাইরের উদ্যোক্তাদের কাছে প্রদর্শিত হয়।
এপেক্স-এর সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, ভোক্তা চাহিদা ও টেকসই পন্যের ভবিষ্যৎ কেমন হবে, সে বিষয়ে ধারণা পাওয়ার জন্য ডাচ ডিজাইন সপ্তাহ অনুপ্রেরণার একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। বাংলাদেশ পণ্য ও সেবা বিক্রি থেকে নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরি ও ডিজাইনে রূপান্তরিত হতে শুরু করেছে, এবং ডাচ ডিজাইন সপ্তাহে অংশগ্রহণ বাংলাদেশীদের জন্য উদ্ভাবনী শক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হতে পারে। এই ধরনের সম্পৃক্ততা অবশ্যই পরবর্তী প্রজন্মের ডিজাইনারদের অনুপ্রাণিত করবে। নেদারলেন্ডস এবং বাংলাদেশে উভয়েই একসঙ্গে উদ্ভাবনী প্রকল্পে যুক্ত হয়ে উতপাদনে দক্ষতা বাড়াতে পারে।
বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এই ইভেন্টে ওয়ালটন, ডিজাইন একাডেমি আইন্ডহোভেনের (DAE) সাথে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে।
এসিআই-এর পরিচালক (প্লাস্টিক) প্রদীপ কুমার পোদ্দার ডিজাইন উইকের স্টলে প্রিমিয়াম ল্যাম্প তৈরিতে পুনর্ব্যবহৃত মাছ ধরার জালের ব্যবহার দেখে বাংলাদেশেও প্লাস্টিক পণ্যের রিসাইক্লিং শিল্পের সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ডিজাইন বিশেষজ্ঞ এবং ডাচ ডিজাইন সপ্তাহের প্রাক্তন পরিচালক হ্যান্স রবার্টাস, বাংলাদেশী নির্মাতাদের কাছে ফিলিপস প্রতিষ্ঠার পর অদ্যবধি উক্ত প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পণ্যের ডিজাইনের উন্নয়নের ধারা তুলে ধরেন। এছাড়া, পণ্যের ডিজাইন উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা বৈশ্বিক বাজারে কিভাবে প্রতিযোগিতা করতে পারে সে বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করেন।
রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেন, ডাচ ডিজাইন সপ্তাহের ২২-তম সংস্করণে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো এই ব্যতিক্রমী ডিজাইন মিটের উদ্যোগ গ্রহণ করে। ভবিষ্যতে আরো অনেক সৃজনশীল বাংলাদেশী কোম্পানি এইডিজাইন সপ্তাহে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে ডাচ প্রতিষ্ঠাণগুলোর নিকট তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ আয়োজনে নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশ দূতাবা্সের সাথে যুক্ত ছিল আইন্ডহোভেন ইন্টারন্যাশনাল প্রজেক্ট অফিস (EIPO), মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাসট্রিস (MCCI), ফ্রন্টিয়ার ফান্ড, বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ।