Home প্রযুক্তি খবর মোবাইল গেমিংয়ে এয়ারটেল-পাবজি অংশীদারত্ব

মোবাইল গেমিংয়ে এয়ারটেল-পাবজি অংশীদারত্ব

বাংলাদেশে মোবাইল গেমিংয়ের জগতে একটি যুগান্তকারী অংশীদারত্ব শুরু করতে পাবজি মোবাইল এবং রবি আজিয়াটা পিএলসি একত্রিত হয়েছে। প্রথমবারের মতো বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল গেম পাবজি মোবাইল -বাংলাদেশের একটি টেলিকম অপারেটরের সাথে সরাসরি অংশীদারত্ব করছে।

এই সহযোগিতা দেশের মোবাইল গেমিং এবং ই-স্পোর্টস দৃশ্যপটে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। এই অংশীদারত্বের অধীনে এয়ারটেল এবং পাবজি মোবাইল একটি স্থানীয় ই-স্পোর্টস ইকোসিস্টেম চালু করবে, যেখানে আনুষ্ঠানিক টুর্নামেন্ট, এক্সক্লুসিভ গেমিং বান্ডেল এবং বিভিন্ন কমিউনিটিভিত্তিক ডিজিটাল উদ্যোগ থাকবে। এই প্রচেষ্টার লক্ষ্য বাংলাদেশি তরুণদের একটি বিশ্বমানের মোবাইল গেমিং অভিজ্ঞতা প্রদান করা।

সম্প্রতি ঢাকায় রবি কর্পোরেট অফিসে পাবজি মোবাইল এবং এয়ারটেলের মধ্যে এ বিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বলেন, এই উদ্যোগ বাংলাদেশের গেমিং সম্প্রদায়কে দ্রুত বর্ধনশীল ডিজিটাল ইকোসিস্টেমে সংযোগ স্থাপন, প্রতিযোগিতা এবং উন্নতির পথ প্রশস্ত করবে। ই-স্পোর্টস টুর্নামেন্ট এবং গেমিং বান্ডেল থেকে শুরু করে যুব প্রচারণা এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা গেমার এবং কন্টেন্ট নির্মাতাদের জন্য নতুন সুযোগ উন্মোচন করবে।

রবি আজিয়াটা পিএলসি-এর প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শিহাব আহমেদ বলেন, “পাবজি মোবাইল বিশ্বব্যাপী তরুণদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং আকর্ষণীয় গেমগুলির একটি। এই অংশীদারত্বের মাধ্যমে, এয়ারটেল বাংলাদেশের তরুণদের জন্য গেমিং এবং ই-স্পোর্টসকে আরও সহজতর, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং কার্যকর করে তুলছে।”

রবির ই-স্পোর্টস এবং গেমিং বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার ফাত্তাহ আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশের গেমিং সম্প্রদায়কে সমর্থন করার ক্ষেত্রে রবি সর্বদা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। টেনসেন্টের সাথে আমাদের অংশীদারিত্ব সেই প্রতিশ্রুতিকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যায়, স্থানীয় গেমারদের জন্য নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে।”

পাবজি মোবাইল-এর দক্ষিণ এশিয়ার প্রকাশনা প্রধান আইসাক মন্তব্য করেন, “আমরা বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাপী গেমিং মঞ্চে একটি উদীয়মান শক্তি হিসেবে দেখি। এয়ারটেল এবং রবি আজিয়াটার সাথে এই অংশীদারত্ব প্রযুক্তি, প্রতিভা এবং সুযোগের ওপর ভিত্তি করে একটি টেকসই ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরিতে আমাদের দীর্ঘমেয়াদী প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে। এটি বাংলাদেশের পরবর্তী প্রজন্মের গেমার, কন্টেন্ট নির্মাতা এবং ই-স্পোর্টস পেশাদারদের বিশ্ব মঞ্চে প্রতিযোগিতা করতে এবং সফল হতে সাহায্য করবে।”

Exit mobile version