দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (ইডিজিই প্রকল্প), বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় ঢাকার বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে (বিসিসিএফসি) “বিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি থ্রু ডেটা গভর্ন্যান্স” শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করে। এই সম্মেলনে সরকারি নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, পেশাদার হিসাববিদ, আইন ও প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। ডিজিটাল যুগে ডেটা সুরক্ষা, ব্যবস্থাপনা ও দায়িত্বশীল ব্যবহারের বিষয়গুলো ছিল আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী জনাব ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব জনাব শিশ হায়দার চৌধুরী, এনডিসি, এমসিআইপিএস; ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টস (আইএফএসি)-এর সভাপতি জনাব জ্যঁ বোকু; এবং বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের ডিভিশন ডিরেক্টর জনাব জ্যঁ পেসমে ।
আইসিএমএবি’র সভাপতি জনাব মাহতাব উদ্দিন আহমেদ এফসিএমএ বলেন, “বর্তমান সময়ে ডেটা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ, তাই এর সঠিক ব্যবহার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি।“ তিনি বলেন, “পেশাদার হিসাববিদরা ডেটার স্বচ্ছতা ও নিয়ম মেনে ব্যবহারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন, যা সরকারি ও বেসরকারি খাতে মানুষের আস্থা বাড়াতে সহায়ক হবে।“
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “বাংলাদেশ যখন একটি আধুনিক রাষ্ট্রের দিকে এগোচ্ছে, তখন শক্তিশালী ডেটা গভর্ন্যান্স খুবই প্রয়োজন। তিনি বলেন, ডেটা সুরক্ষার নীতিমালা শুধু কাগজে থাকলে চলবে না, সেগুলো বাস্তবে কার্যকর করতে হবে, যাতে নাগরিকদের তথ্য সুরক্ষিত থাকে এবং একই সঙ্গে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শিশ হায়দার চৌধুরী, এনডিসি, এমসিআইপিএস বলেন, “কার্যকর ডেটা গভর্ন্যান্স কেবল নীতিমালা প্রণয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, আন্তঃখাত সমন্বয় এবং সুস্পষ্ট জবাবদিহি কাঠামো। সরকার ও বেসরকারি খাতে ডিজিটাল সেবার পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বশীল ডেটা ব্যবহার, নিরাপত্তা এবং কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা জনআস্থা অর্জন ও টেকসই ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
সম্মেলনে তিনটি আলাদা অধিবেশনে ডেটা সুরক্ষা নীতিমালার বাস্তব প্রয়োগ, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে বাংলাদেশের ডেটা ব্যবস্থাপনার তুলনা এবং ডেটা ব্যবস্থাপনায় পেশাদার হিসাববিদদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়। এসব আলোচনায় সরকারি প্রতিষ্ঠান, বিশ্বব্যাংক ও ইউএনডিপির মতো আন্তর্জাতিক সংস্থা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং আইন ও প্রযুক্তি খাতের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
সম্মেলনের শেষে বক্তারা বলেন, সরকার, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, পেশাদার সংগঠন ও বেসরকারি খাত একসঙ্গে কাজ করলে একটি শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য ডেটা গভর্ন্যান্স ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব, যা আস্থা বাড়াবে এবং দেশের টেকসই উন্নয়নে সহায়ক হবে।



