তরুণ প্রজন্মের দৈনন্দিন জীবনের সৃজনশীলতা, বুদ্ধিমত্তা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্প্রতি এআই চালু করেছে ট্রেন্ডি টেক ব্যান্ড ইনফিনিক্স। এটি পরবর্তী প্রজন্মের এআই সল্যুশনস, যার কেন্দ্রবিন্দু হলো ফোলাক্স একটি আধুনিক ভার্চুয়াল সহকারী হিসেবে কাজ করে। ফোলাক্সটি জিপিটি-৪০, জেমিনি এবং অন্যান্য উন্নত প্রযুক্তির সঙ্গে ইনফিনিক্স এর নিজস্ব এআই মডেল দিয়ে চালিত। ইনফিনিক্সের এই উদ্ভাবন তরুণদের মধ্যে নতুন একটি ট্রেন্ডের শুরু করতে যাচ্ছে, যা তাদের জীবনকে সহজ ও উন্নত করবে।
টেক্সট, ভয়েস বা ইমেজ ইনপুটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ইনফিনিক্স এআই–এর মাধ্যমে একটি নিরবচ্ছিন্ন অভিজ্ঞতা উপভোগ করেন, যেখানে রিয়েল-টাইম ফিডব্যাক এবং ব্যক্তিগত সুপারিশ পাওয়া যায়। এটি বুদ্ধিমান সৃজনশীল সহকারীর কাজ করে, যা নিত্যদিনের কাজকে আরও সহজ, উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করে মানুষের উৎপাদনশীলতাকে বাড়িয়ে দেবে।
ইনফিনিক্স এআই-এর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো- লাইভ টেক্সটস, যা ছবি এবং নথি থেকে মুহূর্তের মধ্যেই তথ্য নেয় এবং সেটিকে ছোট করে। শিক্ষার্থী, প্রফেশনালস এবং গবেষকদের জন্য নতুন এই প্রযুক্তি উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। একইসাথে লাইভ টেক্সটস ডেটাকে দ্রুত ও সংক্ষিপ্ত করে, যা ডেটা পুনরুদ্ধারকে আরও কার্যকর এবং দক্ষ করে তুলবে।
যারা সৃজনশীল কাজ করতে চান, তাদের জন্য আছে এআই ম্যাজিক ক্রিয়েট টুল, যা ব্যবহারকারীর ধারণাকে সহজেই বাস্তবে রূপান্তর করতে সহায়তা করে। বিশেষ এই টুল আইডিয়া জেনারেশন এবং সেটি পরিমার্জনের প্রক্রিয়াও নির্দেশ করতে পারে। পাশাপাশি ম্যাজিক ক্রিয়েটের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় রিলস, স্টোরি, পোস্ট, ভিডিও বা ছবির ক্যাপশন তৈরিতে সহায়তা নেয়া যাবে।
অন্যদিকে যারা ভ্রমণপিপাসু এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটর, তাদের জন্য ভিজ্যুয়াল লুক আপ ফিচারটি একটি আদর্শ গাইডলাইন। যেখানে বিভিন্ন নিদর্শনের ছবি, দিক নির্দেশনা, ইতিহাস, সংস্কৃতি বা বিভিন্ন সাইট সম্পর্কে বিশদ তথ্য দেওয়া থাকে।
ইনফিনিক্স এআই∞ নিত্যদিনের কাজ সহজ করতে অ্যাডভান্স কিছু ফিচারও সাজেস্ট করে। যেমন- এআই ওয়ালপেপার, যা ব্যবহারকারীর সাংস্কৃতিক এবং আঞ্চলিক পছন্দগুলোর সাথে খাপ খায়। এছাড়া, এআই ইরেজার এবং স্মার্ট কাটআউটের মতো টুল ইমেজ এডিটিংকে আরও উন্নত করে। এআই স্কেচ ব্যবহার করে কঠিন সব ধারণাকে পলিশ ডিজাইনে রূপান্তর করতে সাহায্য করে। আরও আছে স্মার্ট সার্চ; যা দ্রুত ও প্রয়োজনীয় ভাষায় খুঁজে বের করার সুযোগ দেয় এবং মোবাইল ডেটা ও ব্যালেন্স অনুসন্ধানও করতে সাহায্য করে।
ইনফিনিক্সের এআই উদ্ভাবন স্মার্টফোন প্রযুক্তিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। প্রযুক্তিটি অ্যাপ, ক্লাউড পরিষেবা এবং ভয়েস রিকগনিশনকে একত্রিত করে একটি ইন্টিগ্রেটেড সিস্টেম তৈরি করেছে, যা প্রতিটি মিথস্ক্রিয়ার সঙ্গে বিকশ লাভ করে এবং ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করে। তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে হাজারের বেশি পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে উন্নত হওয়া টুলটি ব্যবহারকারীদের প্রয়োজন অনুযায়ী রিয়েল-টাইমে ব্যক্তিগত ফিডব্যাকও দেয়।
ইনফিনিক্স এআই- এর ব্যবস্থাপক তুয়ানওয়ে শি বলেন, ‘ইনফিনিক্স এআই প্রথমবারের মতো ১০০টির বেশি ভাষাকে সমর্থন করছে, যা আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার মতো অঞ্চলে ভাষা ও কমিউনিকেশনের ফাঁক রোধ করবে। এই উদ্ভাবনী এআই প্রযুক্তি সৃজনশীলতা, উৎপাদনশীলতা এবং বৈশ্বিক সংযোগকে এক জায়গায় এনেছে।’
ট্রান্সফরমার প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এই টুল যে কোনো প্রসঙ্গ বোঝা এবং ব্যক্তিগত তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর। উন্নত প্রশিক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে এটি দ্রুত এবং সঠিক প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করে, পাশাপাশি কর্মক্ষমতাকে অপ্টিমাইজ করে। ফোলাক্সের মতো বৈশিষ্ট্যগুলোর সাহায্যে এটি স্মার্টফোন এআই-তে নতুন একটি মান স্থাপন করছে এবং দক্ষ ও উচ্চ স্তরের কর্মক্ষমতা নিশ্চিত করছে।