কনটেন্ট ক্রিয়েশন ও কোডিং-এর কাজে বর্তমানে ব্যপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে অ্যাডভান্সড এআই সিস্টেম। তবে, এআই এর মাধ্যমে সাইবার-অপরাধীরাও সহজে আরও জোরালোভাবে সাইবার হামলা করে যাচ্ছে। এআই ব্যবহার করে তারা ম্যালওয়্যার এবং পাসওয়ার্ড চুরির মতো কাজ আরো দ্রুত ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে করছে।
বর্তমানে সাইবার অপরাধীরা মানুষের ক্ষতিসাধনে আরও ব্যপকভাবে এআই ব্যবহার করছে। চ্যাটজিপিটির মতো বিভিন্ন ধরনের এআই টুলস ব্যবহার করে ক্ষতিকর সফটওয়্যার বানানো হচ্ছে যাতে করে সাইবার হামলা হচ্ছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। এআই যেকোনো ডিভাইস থেকে সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহ করতে পারে এবং নিজে নিজে পরিচালিত হয় এমন বটনেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ক্যাসপারস্কির পাসওয়ার্ড চুরি সংক্রান্ত গবেষণায় উদ্বেগজনক ফলাফল পাওয়া গেছে।
ক্যাসপারস্কির লিড ডেটা সায়েন্টিস্ট আলেক্সি আন্তোনভ বলেন, “সাধারণ ব্রুটফোর্স অলগারিদম ও আধুনিক জিপিইউ ৪০৯০ ব্যবহার করে ৩২% দূর্বল পাসওয়ার্ডগুলো এক ঘন্টার মধ্যে চুরি করা যেতে পারে, এবং এআই প্রশিক্ষিত মডেল ব্যবহার করলে এর সংখ্যা দাঁড়ায় ৭৮%। অর্থাৎ, ব্রুটফোর্স অলগারিদমের চেয়ে এআই প্রশিক্ষিত মডেল তিনগুন দ্রুত গতিতে কাজ করে। এই গবেষণায় দেখা যায়, মাত্র ৭% পাসওয়ার্ড দীর্ঘমেয়াদী আক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী।”
সাইবার অপরাধীরা এআই ব্যবহার করে যেসব কাজ করে থাকে, তার মধ্যে রয়েছে; সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, বিশ্বাসযোগ্য ফিশিং ম্যাসেজ তৈরি, এবং এমন ডিপফেক তৈরি যা শনাক্ত করা কঠিন। তারা প্রম্পট ইঞ্জেকশন এবং অ্যাডভার্সারিয়াল অ্যাটাকের মতো টেকনিকের মাধ্যমে এআই-এর আরো বেশি অপব্যবহার করছে, যা এআই চালিত প্রযুক্তির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
দৈনন্দিন জীবনে এআই যত বেশি ব্যবহৃত হবে, এআই-এর এসব দূর্বলতা নিয়ে সচেতনতার গুরুতও তত বাড়বে। ক্যাসপারস্কি সক্রিয়ভাবে এআই ব্যবহারের এসব হুমকি শনাক্ত করছে, এআই-এর এসব দূর্বলতা নিয়ে গবেষণা করছে, এবং এসব দূর্বলতা ব্যবহার করে এআই-এর অপব্যবহার প্রতিরোধের পদ্ধতি প্রস্তুত করছে।