Monday, November 25, 2024
spot_img
Homeবিশেষ প্রতিবেদন'বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা পুরস্কার' এর বিজয়ী ঘোষণা

‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা পুরস্কার’ এর বিজয়ী ঘোষণা

দেশে প্রথমবারের মতো প্রদান করা হলো “বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা পুরস্কার ২০২৩”।

আজ বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে হোটেল রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনের গ্রান্ড বল রুমে অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অংশ নেয়া প্রতিযোগিরা চারটি ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়েছেন। প্রতিযোগীতায় শিক্ষার্থীদের জন্য সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা এবং শিক্ষা পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশী কিশোর তামজিদ রহমান। তিনি ‘জানলে আইন, নিরাপদ অনলাইন’ স্লোগানে নিরাপদ অনলাইন সচেতনতা তৈরিতে কাজ করছেন।

উদ্যোক্তাদের জন্য সাইবার নিরাপত্তা উদ্ভাবন পুরস্কার পেয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠান। একটি উদ্যোগ ভারতের এ্যান্ড নাও ফাউন্ডেশন এবং অন্যটি বাংলাদেশের বাইট ক্যাপসুল।

সরকারি কর্মকর্তা, জনসেবা প্রদানকারী এবং পেশাদারদের জন্য সাইবার নিরাপত্তা নেতৃত্ব পুরস্কারও পেয়েছে দুটো উদ্যোগ। একটি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ডিজিটাল সিকিউরিটি সেল, এবং অন্যটি ‘বাংলাদেশ পুলিশ ওম্যান নেটওয়ার্ক’।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা বিশেষ স্বীকৃতি পুরস্কার পেয়েছে পথচলা ফাউন্ডেশন। এটি তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর একটি উদ্যোগ।

প্রতিমন্ত্রী পলক অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে বলেন, সাইবার নিরাপত্তার জন্য চারটি বিষয় নিশ্চিত করা জরুরী। প্রথমত, সচেতনতা; সাইবার নিরাপত্তার সসাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে সকল স্তরের সচেতনতা নিশ্চিত করা জরুরী। দ্বিতীয়ত, টেকনোলজি ডেভেলপমেন্ট। তৃতীয়ত, ডেভেলপমেন্ট পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক এবং চতুর্থত, ইন্টারন্যাশনাল ক্রসবর্ডার কলাবোরেশন।

তিনি আরও বলেন, আরো বেশি প্রাইভেট সেক্টরের ইনিসিয়েটিভ প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সরকারি এবং বেসরকারি পদক্ষেপ জরুরী। কারণ সকল স্তরের ইনভলমেন্ট ছাড়া আমরা সফল হতে পারবো না।

আগামী বছর থেকে ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা পুরস্কার’ প্রতিযোগিতা ধারাবাহিকভাবে আয়োজনের ঘোষণা দেন প্রতিমন্ত্রী।

পলক আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আমরা একযোগে কাজ করে যাচ্ছি। এরই মধ্যে বেশকিছু উদ্যোগের কারণে ডিজিটাল বাংলাদেশ দৃশ্যমান বাস্তবতা। আমরা ক্যাশলেস বাংলাদেশের দিকে এগুচ্ছি। ২০২৭ সালের মধ্যে ৭০ শতাংশ লেনদেন ক্যাশলেশ করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে আমরা কাজ করছি। এ লক্ষ্যে এরই মধ্যে আমরা চালু করেছি ‘বিনিময়’ সফটওয়্যার।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো “বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা পুরস্কার” চালু করেছে, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ও আইসিটি বিভাগের ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি।

বাংলাদেশে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এতে সহযোগিতা করছে। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়ে বিশ্বব্যাপী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতায় উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে এই পুরস্কারের নামকরণ করা হয়।

প্রতিটি বিভাগে বিজয়ীরা পেয়েছেন ১০ হাজার ডলারের আর্থিক পুরস্কার। ২০২২ সালে নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে অনুষ্ঠিত ‘গোল্ডেন জুবিলি বাংলাদেশ কনসার্ট’-এর মাধ্যমে এই অর্থায়ন সংগৃহীত হয়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মোঃ শামসুল আরেফিন, সচিব, আইসিটি বিভাগ; স্টেফান লিলার, আবাসিক প্রতিনিধি, ইউএনডিপি; জি এস এম জাফরুল্লাহ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ; আবু সাঈদ মোঃ কামরুজ্জামান, মহাপরিচালক, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি; সহ উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ।

spot_img
আরও পড়ুন
- Advertisment -spot_img

সর্বাাধিক পঠিত

spot_img