জার্মান প্রযুক্তিতে নির্মিত মারসেডিজ-বেন্জ ও.এফ. ১৬২৩ বাস চ্যাসিস বাজারজাত শুরু করলো র্যানকন ট্রাকস এন্ড বাসসে লিমিটেড।
গত ১৬ই সেপ্টেম্বর রাজধানী তেজগাঁওয়ে উন্মোচিত হলো মারসেডিজ-বেন্জ ও.এফ. ১৬২৩ বাস চ্যাসিসটি যা মিলবে দুইটি প্রকারভেদে । এই বাস চ্যাসিসটি মারসেডিজ-বেন্জ এর সবচাইতে নির্ভরযোগ্য ইঞ্জিন ও.এম. ৯০৬ দ্বারা নির্মিত যা ছয় সিলিন্ডার ৬৩৯৩ সি.সি. এবং ৮১০ এন.এম. @ ১৬০০ আর.পি.এম. টৰ্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম। এছাড়াও চ্যাসিসটি ২৩০ হর্স পাওয়ার সম্বলিত। থাকছে প্যারাবোলিক ও এয়ার সাসপেনশনের সুবিধাও।
চ্যাসিস উন্মোচনের সময় র্যানকন ট্রাকস এন্ড বাসসে লিমিটেডের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক রোমো রউফ চৌধুরী আমাদের জানান “উন্নয়ন ও প্রগতিশীল দেশের জন্য এই চ্যাসিসটি হবে সেরা। ভোক্তাদের আরাম এবং নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আজ আমরা দুই প্রকারের বাস নিয়ে এসেছি। শুধু আরাম এবং নিরাপত্তাই নয় এই চ্যাসিসে মিলবে অধিক জ্বালানি সাশ্রয়। আমরা আশাবাদী বাংলাদেশে এই চ্যাসিসটি নতুন এক অধ্যায় সূচনা করতে যাচ্ছে।
বাসটির সম্পর্কে আরো জানান র্যানকন ট্রাক্টস এন্ড বাসসের নির্বাহী পরিচালক সুলতানুজ্জামান স্বজন। তিনি বলেন “মারসেডিজ-বেন্জ বাস সমগ্র পৃথিবীতে ১২৮ বছর ধরে বিশ্ব সেরা বাস চ্যাসিস্ প্রস্তুত করে আসছে এবং বাংলাদেশে এর মান কোনো অংশে কম নয়। আমাদের চ্যাসিসটিতে প্রপেলার শেফতারের সাথে রিটার্ডর সংযুক্ত থাকার কারনে এটি অধিক নিরাপদ ও ব্রেক দীর্ঘায়ু করে এবং ই.সি.উ নিয়ন্ত্রিত, উচ্চ চাপ (১৮০০ বার) ইউনিটাইস্ড পাম্প ইনজেকশন জ্বালানি অটোমাইজেশন বৃদ্ধি করে জ্বালানি সাশ্রয় করে। ইঞ্জিন মাউন্টেড কম্প্রেসারের শব্দ এবং কম্পন হ্রাস করে। এছাড়াও চ্যাসিসটিতে থাকছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যেমন ইন্টারেক্টিভ ড্যাশবোর্ড যা ই.সি.উ দ্বারা নিরীক্ষণ করা সংকেতগুলি প্রদর্শন করে, যা যেকোনো পরিস্থিতিতে গাড়িটিকে নিরাপদ রাখে। তাছাড়া এই বাহনে থাকবে স্পীড লক যা গতিসীমা বজায় রাখতে সক্ষম।
জ্বালানি সাশ্রয়ের ক্ষেত্রে আমাদের চ্যাসিস গুলো হবে অতুলনীয় কারণ প্রতিটি সিলিন্ডারের আলাদা আলাদা ফুয়েল পাম্প থাকায় বাতাস ও জ্বালানি মিশ্রণ সঠিক হয় যা অধিক জ্বালানি সাশ্রয় করতে সহায়তা করে। শুধু তাই নয় যাত্রী নিরাপত্তা এবং অমসৃণ রাস্তায় ঝাঁকিবিহীন যাত্রা নিশ্চিত করবে এয়ার সাসপেনশন।
চ্যাসিসের আয়ুকাল প্রশ্নে তিনি বলেন ” নিস্বন্দেহে এই চ্যাসিস চলবে দীর্ঘ সময়। ১ লক্ষ কিঃমিঃ ওয়ারেন্টি এবং উচ্চ মানের চ্যাসিস ফ্রেম, সাসপেনশন এবং ব্রেক সবচেয়ে কঠিন ড্রাইভিং পরিস্থিতিতেও কম রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন পরে। তাছাড়া পাউডার প্রলিপ্ত চ্যাসিস ফ্রেম কঠোর পরিবেশে সহনশীল এবং দীর্ঘ সময় মরিচা মুক্ত থাকে।
বর্তমানে র্যানকন ট্রাক্টস এন্ড বাসসের সব শোরুমে এই চ্যাসিসগুলো পাওয়া যাবে এবং সারা দেশ ব্যাপী মিলবে আফটার সেলস সার্ভিস ও পার্টস। সকল প্রতিকূল পরিবেশে থাকছে মোবাইল সার্ভিস টীম। ভবিষ্যতে আসবে আরো অনেক ভিন্ন মডেল যা বদলে দিবে বাংলাদেশের পরিবহন শিল্পকে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন র্যানকন ট্রাকস এন্ড বাসসে লিমিটেডের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক রোমো রউফ চৌধুরী, বিভাগীয় পরিচালক শোয়েব আহমেদ, নির্বাহী পরিচালক সুলতানুজ্জামান স্বজন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাদিকুল মোস্তাক, ভাইস প্রেসিডেন্ট ডাইমলার ট্রাক (সাউথ ইস্ট এশিয়া) ক্রিস্টোফ স্টেম্মার এবং জেনারেল ম্যানেজার ডাইমলার ট্রাক (সাউথ ইস্ট এশিয়া) সাতটিয়াম প্রকাশ এবং আরো অনেকে।