আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল সেবা প্রদান নিশ্চিতে ‘ডিজিটাল সার্ভিস ওয়েব ডিজাইনিং ফর ইনক্লুসিভ অ্যাক্সেসিবিলিটি’ নামে গাইডলাইন অনুমোদন করা হয়েছে। এটুআই এর কারিগরি সহায়তায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এই গাইডলাইন অনুমোদন করে এবং মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও আওতাধীন দপ্তর সংস্থা/বিভাগ ও জেলা কর্তৃক গাইডলাইনটি অনুসরণে নির্দেশনা প্রদান করে।
গাইডলাইনটি অনুমোদনের মধ্য দিয়ে দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওয়েব এবং ডিজিটাল সেবাসমূহ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ব্যবহার উপযোগী হওয়ার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে।
এই গাইডলাইনটি আন্তর্জাতিক ওয়েব অ্যাক্সেসিবিলিটি মানদণ্ড ওয়েব কনটেন্ট অ্যাক্সেসিবিলিটি গাইডলাইন (ডব্লিউসিএজি) ২.১ অনুযায়ী প্রণয়ন করা হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে, এটুআই-এর কারিগরি সহায়তায় আইসিটি ডিভিশনের পলিসি শাখা বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে বছরব্যাপী মত-বিনিময়ের মধ্য দিয়ে এই গাইডলাইনটি প্রণয়ন করে। যা পরবর্তীতে আইসিটি বিভাগ অনুমোদন করে।
ডব্লিউসিএজি-এর চারটি মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে এই গাইডলাইনটি প্রণয়ন করা হয়। যা দেশের সকল ওয়েব এবং ডিজিটাল সার্ভিস এর তথ্য ও সেবা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিসহ সকলের জন্য অভিগম্যতা নিশ্চিত করে।
উল্লেখ্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ-এর আওতায় বাস্তবায়নাধীন ও ইউএনডিপি এর সহায়তায় পরিচালিত এসপায়ার টু ইনোভেট- এটুআই ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিমূলক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিভিন্ন উদ্ভাবনী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে জাতীয় তথ্য বাতায়ন, মাইগভ, মুক্তপাঠ, নাইস প্লাটফর্মকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বান্ধব করেছে এটুআই। একইসাথে দেশের ৫টি ব্যাংকের ডিজিটাল সার্ভিসকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ব্যবহার উপযোগী করে তোলার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।