গ্লোবাল ট্রান্সপারেন্সি ইনিশিয়েটিভ (জিটিআই) চালুর মাধ্যমে প্রথম সাইবার সিকিউরিটি কোম্পানি হিসেবে বাহ্যিক পর্যালোচনার জন্য সোর্স কোড উন্মুক্ত করে দিয়েছে ক্যাসপারস্কি। তাদের ট্রান্সপারেন্সি সেন্টারের মাধ্যমে গ্রাহক, নিয়ন্ত্রক ও অংশীদাররা থ্রেট ডিটেকশন রুলস, সফটওয়্যার আপডেট এবং সোর্স কোড পরীক্ষা করতে পারবে। দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলের অবস্থিত এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্যাসপারস্কির চতুর্থ কেন্দ্রের মাধ্যমে তিন স্তরের রিভিউ পাওয়া যাবে; একটি মৌলিক ওভারভিউ (ব্লু পিস্ট), একটি বিশদ সোর্স কোড অ্যানালাইসিস (রেড পিস্ট) এবং একটি পূর্ণাঙ্গ রিভিউ (ব্ল্যাক পিস্ট)।
ব্যবহারকারীরা এখন থ্রেট অ্যানালাইসিস ও সিকিউরিটি টেস্টিং প্রসেসের মতো নিরাপদ সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ডকুমেন্টগুলোও রিভিউ করতে পারবে। এ প্রসঙ্গে ক্যাসপারস্কি’র ডিরেক্টর অব গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড পাবলিক পলিসি ফর এশিয়া-প্যাসিফিক-জাপান অ্যান্ড মেটা জিনি সুজিন গান বলেন “সাইবার সিকিউরিটিতে আস্থা তৈরিতে আমাদের চেষ্টার প্রমাণ এই ট্রান্সপারেন্সি সেন্টারগুলো। নতুন সিউল সেন্টারের মাধ্যমে আমাদের কাজগুলো সবার সামনে তুলে ধরার পাশাপাশি প্রযুক্তির প্রতি সবার আস্থা তৈরি এবং বিশ্বব্যাপি সাইবার হামলা বন্ধে আমরা সাহায্য করতে চাই।”
ক্যাসপারস্কি’র জিটিআই চালুর ফলে সুইজারল্যান্ডে ডেটা স্থানান্তর, তৃতীয় পক্ষের স্বতন্ত্র পর্যালোচনা, সাইবার ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রোগ্রাম, বাগ বাউন্টি পুরষ্কার বৃদ্ধি এবং সরকার ও ব্যবহারকারীর ডেটা রিকুয়েস্টের নিয়মিত ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট পাওয়া যাবে।
ক্যাসপারস্কি’র ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্টে নতুন যা এসেছে –
ব্যবহারকারীর ডেটা ও প্রযুক্তিগত সহায়তা এ দুই ক্ষেত্রে কীভাবে সরকার ও আইন প্রয়োগকারীর আবেদন পরিচালিত হয় ক্যাসপারস্কি তা শেয়ার করছে। ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে, প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য ক্যাসপারস্কি ৯টি দেশ থেকে মোট ৬১টি আবেদন পায়, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ১০.৩% কম। ক্যাসপারস্কি তথ্য সংরক্ষণ-অপসারণে ব্যবহারকারীর অনুরোধের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
জিটিআই-তে গৃহীত পদক্ষেপগুলো ক্যাসপারস্কি’র সাইবার সিকিউরিটি প্রোডাক্টের নিরাপত্তা ও নির্ভরযোগ্যতা পরীক্ষা জন্য একটি পরিপূর্ণ সিস্টেম তৈরি করেছে৷ এই পদক্ষেপগুলো ডিজিটাল ঝুঁকির বিরুদ্ধে সুরক্ষা জোরদারে একটি হাই স্ট্যান্ডার্ড স্থাপন করেছে৷