রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ২৬ জানুয়ারি শুরু হতে যাচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা ২০২৩। তিন দিনব্যাপী এই মেলায় সর্বাধুনিক উদ্ভাবন ও ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির ট্রেন্ডগুলো দেখার সুযোগ পাবেন খাত সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও দর্শনার্থীরা। অনুষ্ঠানটির টাইটানিয়াম স্পন্সর হিসেবে সবচেয়ে দর্শনীয় প্যাভিলিয়ন নিয়ে সেখানে থাকবে হুয়াওয়ে। প্যাভিলিয়নে দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় টেক সল্যুশন, কুইজ ও পুরস্কারের ব্যবস্থা।
এবারের আয়োজনের থিম হিসেবে ঠিক করা হয়েছে ফাইভজি ইন্ডাস্ট্রি + ক্লাউড + অল-অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক + ডিজিটাল এনার্জি। মেলায় হুয়াওয়ে প্যাভিলিয়ন সুসজ্জিত হচ্ছে ৫.৫জি, এন্টারপ্রাইজ বিজনেস সল্যুশন, হুয়াওয়ে ক্লাউড ও ডিজিটাল পাওয়ারের মতো বিভিন্ন যুগান্তকারী উদ্ভাবন নিয়ে। এছাড়াও স্মার্ট পোর্ট ও ডিজিটাল পাওয়ার সল্যুশনের ডেমোসাইট দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। একইসাথে, মেলায় আগত অতিথিগণ প্রতি দুইঘণ্টা পরপর কুইজে অংশ নিয়ে আকর্ষণীয় পুরস্কার জিতে নিতে পারবেন। এই মেলা উপলক্ষ্যে হুয়াওয়ে বাংলাদেশ ফেইসবুক পেইজে ফ্যানদের জন্য আলাদা একটি কুইজ ক্যাম্পেইনেরও ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
হুয়াওয়ে বাংলাদেশের চিফ টেকনিক্যাল অফিসার মাজিয়ান বলেন, “হুয়াওয়ে বাংলাদেশের আইসিটি ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ব্যক্তি, পরিবার ও প্রতিষ্ঠানের জন্য উদ্ভাবনী সল্যুশন নিয়ে আসতে এবং সম্পূর্ণ কানেক্টেড ও ইন্টেলিজেন্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়াও, বাংলাদেশ সরকার ও আমাদের জন্য কার্বন নিরপেক্ষতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এই মেলায় স্ট্রাইড টু ৫.৫জি থিমের আওতায় আমাদের প্যাভিলিয়নে আমরা ৫.৫জি, রোবোটিক্স, স্মার্ট পোর্ট, স্মার্ট এডুকেশন, হুয়াওয়ে সোলার পিভি সলিউশন, ক্লাউডসহ বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ প্রদর্শন করবো আমাদের প্যাভিলিয়নে আমরা সবাইকে স্বাগত জানাই।”
২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে দুর্বার গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। এই যাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ফাইভজি, ডিজিটাল এনার্জি, ক্লাউড, স্মার্ট এডুকেশন ও স্মার্ট
হেলথকেয়ার সহ ডিজিটাল সক্ষমতা ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্বারোপ করা। এ সকল বিষয়ে আলোকপাত করতে অংশীজনদের সহায়তা করবে ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা ২০২৩। হুয়াওয়ের বিশ্বব্যাপী ১০০,০০০টিরও বেশি পেটেন্টের বিশাল পোর্টফোলিও রয়েছে। এটি ৫জি প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সংখ্যক পেটেন্ট মালিকদের মধ্যে একটি, যা পরবর্তী প্রজন্মের দ্রুতগতি সম্পন্ন মোবাইল ইন্টারনেট, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং স্বচালিত যানবাহনের মতো ভবিষ্যতের শিল্পগুলির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মেলার মাধ্যমে হুয়াওয়ে অতিথিদের জন্য তেমন কিছু ডিজিটাল সল্যুশন দেখার সুযোগ করে দিবে। পরবর্তীতে, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের প্রবৃদ্ধিতে
এ সল্যুশনগুলো ব্যবহার করতে পারবে। গতবার এই মেলায় হুয়াওয়ের প্যাভিলিয়নে ফাইভজি অভিজ্ঞতা গ্রহণের সুযোগ ছিলো।