বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের তহবিলে ২৪. ৪৪ কোটি টাকা জমা দিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিকম অপারেটর গ্রামীণফোন। শ্রমিক কল্যাণ ও দায়িত্বশীল কর্পোরেট কার্যক্রম অনুসরণে নিজেদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করতেই গ্রামীণফোন এ অর্থ জমা দিয়েছে। প্রদানকৃত অর্থ প্রতিষ্ঠানটির ২০২৩ সালের ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডের (ডব্লিউপিপিএফ) ১০ শতাংশ।
গতকাল ঢাকায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার (সিএইচআরও) সৈয়দা তাহিয়া হোসেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার হাতে চেক হস্তান্তর করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব এ.এইচ.এম. শফিকুজ্জামান, গ্রামীণফোনের হেড অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস অ্যান্ড কালচার মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন, কম্পেন্সেশন অ্যান্ড বেনিফিটস প্রধান মোহাম্মদ খালেদ মৃধা, সিনিয়র ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস এক্সপার্ট মুহাম্মদ তাওহীদুল ইসলাম এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস এক্সপার্ট মো. হারুন অর রশিদ।
গ্রামীণফোনের চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার (সিএইচআরও) সৈয়দা তাহিয়া হোসেন বলেন, “ দায়িত্বশীল কর্পোরেট নাগরিক হিসেবে নিজেদের কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন গ্রামীণফোন। আমাদের প্রতিশ্রুতি শুধুমাত্র কানেক্টিভিটির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং আমরা বৈচিত্র্যময় এবং ডিজিটালভাবে দক্ষ ভবিষ্যৎ-উপযোগী কর্মী তৈরি ও তাদের ক্ষমতায়নের জন্য সমানভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই প্রদানকৃত অর্থ সকল কর্মীদের নিরাপত্তা এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মপরিবেশ গড়ে তোলার প্রতি গ্রামীণফোনের অঙ্গীকারের প্রতিফলন। আমরা বিশ্বাস করি যে, সম্মিলিত প্রচেষ্টা সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে পারে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সহযোগে ক্রমাগত পরিবর্তনশীল ডিজিটাল পরিবেশে সফলভাবে কাজ করতে পারার পাশাপাশি সবার জন্য আর্থিক সমৃদ্ধি ও উজ্জ্বল ভবিষ্যত বিনির্মাণে বদ্ধপরিকর।”
বাংলাদেশ শ্রম আইনের অধীনে স্থানীয় ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো বছর শেষে তাদের লাভের ৫ শতাংশের এক-দশমাংশ শ্রম কল্যাণ তহবিলে জমা দেয়। যাত্রা শুরুর পর থেকে একটি দায়িত্বশীল কর্পোরেট কোম্পানি হিসেবে এবং শ্রম কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলের অন্যতম শীর্ষ অবদানকারী শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে এখন পর্যন্ত মোট ২৩৯ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার ৬০৩ টাকা জমা দিয়েছে গ্রামীণফোন।
টেলিযোগাযোগ শিল্পের অগ্রদূত হিসেবে গ্রামীণফোন ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি এবং তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা ভবিষ্যত নেতৃত্ব বিকাশে সহায়ক।কোম্পানিটি ফিউচার-ন্যাশন ও জিপি একাডেমির মাধ্যমে তরুণদের ডিজিটাল দক্ষতায় প্রশিক্ষিত করছে। এছাড়া জিপি অ্যাক্সেলারেটর প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের উদ্যোক্তাদের সহায়তা ও একটি সমৃদ্ধ স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তুলছে গ্রামীণফান যাতে তরুণরা ডিজিটাল বিশ্বে উন্নতি করতে পারে। কোম্পানির অপর প্ল্যাটফর্ম ‘শি’ নারীদের পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে দেশব্যাপী নারী পেশাজীবীদের ক্ষমতায়ন করছে।