আইসিটি বিভাগ, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) যৌথ উদ্যোগে দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সর্ববৃহৎ তথ্যপ্রযুক্তি প্রদর্শনী ‘ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো ২০২২’। ১৬ নভেম্বর থেকে ০৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের ০৮টি বিভাগীয়/বড় শহরে (চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, ময়মনসিংহ, বরিশাল, যশোর, রাজশাহী ও রংপুর) স্থানীয় পর্যায়ে ‘ডিজিটাল ডিভাইস এন্ড ইনোভেশন এক্সপো ২০২২’ অনুষ্ঠিত হবে।
প্রদর্শনীর সফল আয়োজন করার নিমিত্তে স্টেক হোল্ডার, উৎপাদন ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ০২ নভেম্বর (বুধবার) রাতে রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টাল ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ শীর্ষক মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম, পিএএ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে অর্জিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ উৎসবমূখর পরিবেশে উদযাপনের প্রস্তুতি ও দেশব্যাপী প্রচারণা, বিনিয়োগকারী/উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধ করা, দেশব্যাপী সকল ইনোভেটিভ আইডিয়াগুলোকে উপস্থাপনের প্ল্যাটফর্ম তৈরী, এবং তৃণমূল পর্যায়ের জনগণকে বর্তমান সরকারের ‘ভিশন ২০৪১-স্মার্ট বাংলাদেশ’ যাত্রায় সম্পৃক্ত করাই এ আয়োজনের উদ্দেশ্য। আমি আশা করি এই আয়োজন জেলা পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া জাগাতে সক্ষম হবে।
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ২০১৫ সাল থেকে আইসিটি এক্সপো আয়োজিত হয়ে আসছে। ২০১৯ সালে ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো আয়োজনের গর্বিত অংশীদার আমরা। তথ্য প্রযুক্তিখাতে উদ্ভাবন, দেশীয় ভোক্তাদের কাছে প্রযুক্তিকে সহজলভ্য করা ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদেরকে বাংলাদেশে আকৃষ্ট করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকি। এরই ধারাবাহিকতায় এবছর আমরা দেশব্যাপী ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো ২০২২ এর আয়োজন করেছি।
বিসিএস সভাপতি ইঞ্জি. সুব্রত সরকার বলেন, ডিভাইস ছাড়া ডিজিটাল শব্দটি পরিপূর্ণ নয়। বিশ্বায়নের যুগে আপনি যাই করার প্রয়োজন অনুভব করেন, ডিভাইস লাগবেই। নিত্যনতুন ডিভাইস মানুষের দৈনন্দিন কাজকে সহজ করে। দেশব্যাপী প্রযুক্তির উৎকর্ষতাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে আমাদের এই আয়োজন। জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়কে বাস্তবায়ন করতে এই এক্সপো হবে অন্যতম হাতিয়ার ।
অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিসিএস মহাসচিব কামরুজ্জামান ভূইয়া। তিনি বলেন, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি প্রযুক্তিতে সাধারণ মানুষকে সমৃদ্ধ করতে দেশব্যাপী কাজ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা এবার রাজধানীর বাইরে ৮টি বিভাগীয়/বড় শহরে ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো ২০২২ প্রদর্শনী বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি রাজধানীর বাইরেও আমাদের অনেক উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যান্সার, প্রযুক্তিপণ্য ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীরা পর্যন্ত এই এক্সপোর মাধ্যমে নিজেদের প্রযুক্তি জ্ঞান সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি হালনাগাদ ডিভাইসগুলো সম্পর্কে সম্যক ধারণা অর্জন ও সরাসরি দেখার সুযোগ পাবে।
মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো ২০২২ এর বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে আইডিয়া প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক মো. আলতাফ হোসেইন, এটুআই এর প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, বিসিএস উপদেষ্টা মোজাম্মেল হক বাবুসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। এসময় বেসিস, বাক্য, আইএসপিএবি, ই-ক্যাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ, বিসিএস এর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ, হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার আমদানি ও বিপণন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এবং প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।