Home ইভেন্ট ভিসা অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রামের চতুর্থ সংস্করণে আবেদন ৮ মার্চ পর্যন্ত

ভিসা অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রামের চতুর্থ সংস্করণে আবেদন ৮ মার্চ পর্যন্ত

ডিজিটাল পেমেন্টে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ভিসা তাদের ভিসা অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রামের চতুর্থ সংস্করণ নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশী ফিনটেক ও গ্রোথ-স্টেজ স্টার্টআপগুলোর কাছ থেকে আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রামের আবেদন শেষ হবে আগামী ০৮ মার্চ। বাছাইকৃত স্টার্টআপগুলো এ বছরের মে থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত এই প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত থাকবে। পরবর্তীতে ডেমো ডে’র মধ্য দিয়ে প্রোগ্রামটি শেষ হবে।

ভিসার পেমেন্ট বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায় বাংলাদেশের স্টার্টআপগুলোর সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করাই এই উদ্যোগের লক্ষ্য। এ বছরের সংস্করণে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), গ্লোবাল মানি মুভমেন্ট, লয়্যালটি অফ দ্য ফিউচারের মতো নতুন জায়গা (সুযোগ) সহ ডিজিটাল অ্যাক্সেপটেন্স ফর মাইক্রো, স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম বিজনেসেস (এমএসএমবিএস) এবং এমবেডেড ফাইন্যান্সের মতো বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হবে।

ভিসা বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের কান্ট্রি ম্যানেজার সৌম্য বসু বলেন, “সম্ভাবনাময় পেমেন্ট-সংক্রান্ত উদ্ভাবনগুলোকে ভিসা অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রামে আমন্ত্রণ জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত। ভিসার সহযোগিতায় তাদের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আমরা আশাবাদী। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে স্টার্টআপগুলো আমাদের বিষয়-ভিত্তিক বিশেষজ্ঞদের সাথে কাজ করার এবং তাদের সল্যুশনগুলো বাস্তব বিশ্বের জন্য উপযোগী কিনা তা পরীক্ষা করার সুযোগ পাবেন। এমন সুযোগ প্রবৃদ্ধির পথকে সুগম করার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে। গ্লোবাল পেমেন্টের ক্ষেত্রে ইতিবাচক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে একটি নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ অর্থ প্রবাহ (মানি মুভমেন্ট) পদ্ধতি তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য।”সম্প্রসারণের পর্যায়ে আছে এমন সম্ভাবনাময় প্রতিষ্ঠানের জন্য তৈরি করা এই প্রোগ্রামটি বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়। বাস্তবসম্মত কনসেপ্ট (প্রুফ অব কনসেপ্ট), খাত-সংশ্লিষ্ট সমস্যা সমাধানে পণ্যের কার্যকারিতা (প্রোডাক্ট সল্যুশনিং) এবং পণ্যের দ্রুত বাণিজ্যিকীকরণের মতো বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হবে। এছাড়া, অংশীদারিত্বের সুযোগ তৈরি হবে, যার মাধ্যমে স্টার্টআপগুলোর প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে। এই প্রোগামে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের নির্বাচিত কিছু স্টার্টআপ পেমেন্ট ইকোসিস্টেম খাতের প্রতিবন্ধকতাগুলো নিয়ে কাজ করবে। প্রোগামে স্টার্টআপগুলোর জন্য থাকছে নতুন সল্যুশন (সমাধান) তৈরি ও পরীক্ষা করার সুযোগ; পাশাপাশি বাজারে নতুন সমাধান চলবে কিনা সেটা বোঝার জন্য ভিসার বিস্তৃত নেটওয়ার্ক (আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মার্চেন্ট ও ডিজিটাল অংশীদার) ব্যবহার করার সুযোগ পাবে স্টার্টআপগুলো। অভিজ্ঞ মেন্টর (পরামর্শদাতা), সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও বিনিয়োগের অফুরন্ত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনের মাধ্যমে অ্যাডভান্সড-লেভেল স্টার্টআপগুলোকে ধারাবাহিকভাবে সহায়তা করে যাচ্ছে ২০২০ সালে চালু হওয়া এই ভিসা অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রামটি।

Exit mobile version