বাংলাদেশ সাসটেইনিবিলিটি এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ডস ২০২৩- অনুষ্ঠানে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি (ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন) ক্যাটেগরিতে পুরস্কার পেয়েছে গ্রামীনফোন। প্রতিষ্ঠানটির ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগ জিপি অ্যাকসেলেরেটর ও জিপি অ্যাকাডেমিকে এ পুরস্কার দেয়া হয়। ইংরেজি গণমাধ্যম দ্য ডেইলি স্টার ও সিএসআর উইন্ডোর আয়োজনে গতকাল (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত সাসটেইনিবিলিটি এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ডস ২০২৩ -এ সম্মাননা দেয়া হয় বিজয়ীদের, যেখানে সাসটেইনিবিলিটি এক্সেলেন্স ইনিশিয়েটিভ ইন ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন শ্রেণিতে পুরস্কৃত হয় গ্রামীণফোন।
গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান এবং এর হেড অব সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট ফারহানা ইসলাম। অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের ঊর্ধ্বতন অন্যান্য কর্মকর্তাগণের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বিপণন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাজ্জাদ হাসিব, হেড অব পাবলিক অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স হোসেন সাদাত এবং প্রতিষ্ঠানটির হেড অব কমিউনিকেশনস শারফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।
গ্রামীণফোন এর জিপি অ্যাকাডেমি এবং জিপি অ্যাকসেলেরেটর লার্নিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে লক্ষাধিক তরুণদের জন্য ভবিষ্যতের শিল্পখাত উপযোগী দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের মধ্যে উদ্যোক্তা হওয়ার দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ করে তারুণ্যের সম্ভাবনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। আপস্কিলিং প্ল্যাটফর্ম জিপি অ্যাকাডেমি দেশব্যাপী তরুণদের দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে ভবিষ্যতের সাথে মানিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে তাদের প্রস্তুত করে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। অন্যদিকে, জিপি অ্যাকসেলেরেটর সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক ধারণার বাস্তবায়নে তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানে, খাতসংশ্লিষ্ট পরিচিতি বৃদ্ধিতে এবং কর্পোরেট অ্যালায়েন্স তৈরিতে ভূমিকা রেখে আসছে, যাতে দেশের সেরা ব্যবসায়িক ধারণাগুলোর কার্যকরী বাস্তবায়নের মাধ্যমে সবার জন্য সুবিধাজনক ফল নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। উভয় উদ্যোগই দেশের ভবিষ্যতকে সমৃদ্ধ করতে এবং সম্ভাবনার বিকাশ ও উৎকর্ষ অর্জনে ভূমিকা রাখছে।
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, “অন্য সব বিজয়ীদের সাথে একই মঞ্চে উপস্থিত থাকা অত্যন্ত আনন্দের। সমাজ, মানুষ ও বিশ্বের উন্নয়নে সংহতি গড়ে তুলতে এখানে আমরা সবাই টেকসই উন্নয়নে উৎকর্ষ অর্জনের উদযাপনে একত্রিত হয়েছি।” তিনি আরও বলেন, “জাতি হিসেবেই আমরা এসডিজি নিয়ে আমাদের অঙ্গীকার পূরণে এগিয়ে যাচ্ছি। মানুষ ও পৃথিবীর দীর্ঘমেয়াদী সমৃদ্ধিতে এ মুহূর্তে সরকারি প্রচেষ্টার পাশাপাশি বেসরকারি খাত থেকে টেকসই উন্নয়ন নিয়ে আমাদের প্রচেষ্টাকে ও উদ্যোগ আরও বৃদ্ধি করতে হবে এবং একসাথে কাজ করতে হবে। গ্রামীণফোনে আমরা সমাজের ক্ষমতায়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের চেতনা লালন করি। কেননা, আমাদের বিশ্বাস, শুধুমাত্র বর্তমানের জন্যই নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও আমাদের সুরক্ষা, টিকিয়ে রাখা ও উদ্ভাবনের দায়িত্ব নিতে হবে।”
উল্লেখ্য, গ্রামীণফোন সম্প্রতি ব্লুমবার্গের সাসটেইনিবিলিটি ২০২৩ সালের তালিকায় স্থান অর্জন করে নিয়েছে – প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ থেকে তালিকায় অবস্থান করে নেয়া অন্য সাত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে। পাশাপাশি, গ্রামীণফোন এফআইসিসিআই অ্যাওয়ার্ডস ২০২৩ এর উদ্বোধনীতে ‘স্টার ডিইআই টিম অব দ্য ইয়ার’ শ্রেণির অধীনে ৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে, যা কর্মক্ষেত্রে বৈচিত্র্য, সাম্যতা এবং অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গ্রামীণফোনের প্রতিশ্রুতিকেই প্রতিফলিত করে।