ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান বলেছেন, চট্টগ্রামে বিডিএস রোলআউটের মধ্যে দিয়ে সারাদেশে আজ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুত বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে (বিডিএস) কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো।
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী আজ রবিবার(০৬ আগস্ট ২০২৩)বন্দর নগরী চট্টগ্রামে অবস্থিত প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউট (পিটিআই) মিলনায়তনে বাংলাদেশ ডিজিটাল জরিপ (বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে – বিডিএস) রোলআউটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ভূমি সচিব মোঃ খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো: তোফায়েল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় ১৩০ বছর পূর্বে বাংলাদেশে প্রথম বিজ্ঞানভিত্তিক জরিপ শুরু হয় চট্টগ্রাম থেকে উল্লেখ করে ভূমিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, চট্টগ্রামে শুরু হওয়া বিডিএস হবে মাঠে গিয়ে পরিচালিত শেষ জরিপ।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভের মূল উদ্দেশ্য অল্প সময়ে সমগ্র বাংলাদেশে ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে তথা ভূ-সম্পদ জরিপ শেষ করা এবং পরবর্তীতে মাঠে গিয়ে সার্ভের প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে নিয়ে আসা। এছাড়া কোনো এলাকায় প্রাকৃতিক কারণে বড় ধরণের ভূমির বিচ্যুতি না ঘটলে রিভিশন্যাল সার্ভের প্রয়োজনীয়তাও থাকবেনা ডিজিটাল ম্যাপ পার্টিশনের সুবিধার জন্য।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী এই সময় বলেন, আগমী সেপ্টেম্বর নাগাদ ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনের খসড়া আইন প্রনয়নের উদ্দেশ্যে সংসদে পাঠানো সম্ভব হবে। অবৈধ জমি দখলের দিন ফুরিয়ে আসছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অবৈধ জমি দখলের জন্য জেল ও জরিমানা – দুটিরই ব্যবস্থা আছে এই আইনে।
ভূমি সচিব মোঃ খলিলুর রহমান জানান, বিডিএস কার্যক্রমে একই সাথে অনলাইনে মৌজা ম্যাপ ও খতিয়ান পাওয়া যাবে। ১৫ দিনের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সৃষ্ট দাগ সংশোধনের নকশাসহ খতিয়ান তৈরি হবে।
এর আগে গত বছরের (২০২২) ০৩ আগস্ট পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলার ইটবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিডিএস পাইলটিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছিলেন ভূমিমন্ত্রী। পাইলটের সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে আজ চট্টগ্রাম থেকে পূর্ণাঙ্গ বিডিএস কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ভূমিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আব্দুল বারিক, বিডিএস কার্যক্রমের ইডিএলএমএস প্রকল্প পরিচালক জহুরুল ইসলাম, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, চট্টগ্রামের জোনাল সেটলমেন্ট অফিসার আফিয়া আখতার সহ ভূমি মন্ত্রণালয়, সংশ্লিষ্ট প্রকল্প ও মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, দক্ষিণ কোরীয় ভেন্ডার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় রাজনীতিবিদ, স্থানীয় সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ এবং গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।