সামাজিক এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বৈচিত্র্যতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ন্যায্যতা যোগ করে সমতা ত্বরান্বিত করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ফুডপান্ডা।
সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘গল্প কথন’ নামক পর্বের আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি। এতে প্রতিষ্ঠানটির নারী কর্মীরা প্রযুক্তিতে ন্যায্যতার মাধ্যমে সমতাযাত্রায় নিজেদের গল্প শোনান। এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘জেন্ডার সমতার জন্য প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন’। অংশীজনদের সাথে নিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরিতে ফুডপ্যান্ডার প্রচেষ্টার সাথে চলতি বছরের এ প্রতিপাদ্যটি প্রাসঙ্গিক।
বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে নারীর প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রতিষ্ঠানটি এ দিবস উদযাপন করে। গল্প কথন পর্বে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটির নারী কর্মীরা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। বৈচিত্র্যময় এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ, প্রযুক্তিতে সমতা তৈরি এবং অংশগ্রহণের বিষয়গুলো তাদের বক্তব্যে উঠে আসে। এছাড়াও প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে নিজ নিজ ক্ষেত্রে তারা তাদের সাফল্যের গল্প শোনান।
এ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ৩৪জন নারী রাইডার এবং ৩২ জন নারী পিকারকে প্রশংসা পত্র দিয়ে সম্মাননা জানায় ফুডপ্যান্ডা। গ্রাহকের দোরগোড়ায় খাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী কর্মক্ষমতা এবং কঠোর পরিশ্রমের স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
ফুডপান্ডা বাংলাদেশের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক আম্বারীন রেজা বলেন, বাংলাদেশে ন্যায্যতার মাধ্যমে সমতার জন্য প্রয়োজন লিঙ্গ, জাতি, ধর্ম, আর্থ-সামাজিক অবস্থানের ভিত্তিতে যাতে কেউ বৈষ্যমের শিকার না হন তা নিশ্চিত করা। এজন্য দীর্ঘদিনের পক্ষপাতিত্ব এবং বৈষম্যমূলক চর্চার মোকাবিলা করতে হবে। তাই প্রত্যেকের সম্মানজনক এবং পূর্ণাঙ্গ জীবনযাপন নিশ্চিতে প্রয়োজন সমাজের সবার সহযোগিতা৷ আমি সবাইকে সমান সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে ন্যায্যতা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফুডপান্ডা হোম শেফ কর্মসূচি আমাদের এ প্রচেষ্টার একটি প্রধানতম উদাহরণ। এ কর্মসূচির মাধ্যমে প্রযুক্তি ব্যবহার করে যে কেউ ঘরে বসেই তার স্বাধীনতা অনুযায়ী কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আমরা আমাদের নতুন এ ধরনের উদ্যোগ চালুর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো। যা ফুডপ্যান্ডা এবং সামগ্রিকভাবে বৃহৎ জনগোষ্ঠীর মাঝে বৈচিত্র্যতা, ন্যায্যতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গি ছড়িয়ে দেবে।
প্রতিষ্ঠানটির মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান এইচ এম সাইফ বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি ‘বৈচিত্র্য উন্নয়নের মাধ্যমে সফলতা’ শুধুমাত্রই একটি দৃষ্টিকার্ষক শব্দবন্ধ নয়। বরং এটি এক ধরণের প্রমাণিত কৌশল যার মাধ্যমে সফলতা অর্জন সম্ভব। অভিজ্ঞতা, অবস্থানের বিভেদ পেরিয়ে লিঙ্গ-জাতি-বর্ণ পরিচয় নির্বিশেষে সবাইকে এক স্থানে নিয়ে আসা হলে বৈচিত্র্যপূর্ণ এবং উদ্ভাবনী দল হিসেবে একত্রে দারুণ কিছু অর্জন সম্ভব।’