গেলো বছর র্শীর্ষস্থানীয় ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ ইমো’র প্রধান লক্ষ্য ছিলো অ্যাকাউন্টের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। ইমো সূত্র অনুযায়ী, বছরশেষে ইমো অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং কমেছে ১৭ শতাংশ। নতুন বছর-২০২৪ সালে শতভাগ সুরক্ষার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করছে প্রতিষ্ঠানটি।
ইমো সারা বিশ্বের প্রায় ২০০ মিলিয়ন মানুষকে ৬২টি ভাষায় একে অপররে সাথে যোগাযোগ স্থাপনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। এই মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম সবার ডাটা সুরক্ষিত রাখতে এবং সাইবার অপরাধ মোকাবিলা করতে ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তাকে অগ্রাধিকার দেয়।
ইমো’র তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বাংলাদেশী ইমো ব্যবহারকারীরা ১০১ বিলিয়ন মেসেজ, ৯১.৬ বিলিয়ন অডিও-ভিডিও কল এবং ৬৭৬ মিলিয়ন গ্রুপ কল করেছে , যার মধ্যে আন্তর্জাতিক কলের সংখ্যা ছিলো ৩৫.৮ বিলিয়ন। গত বছর বাংলাদেশে ইমো ব্যবহারকারীরা গড়ে ৭৩০ বার ইমো ব্যবহার করেছে। এ কারণে নতুন বছর-২০২৪ সালে অডিও-ভিডিও কলের মান উন্নত করার জন্য কাজ করবে ইমো। এ লক্ষ্যে চলতি মাসেই টুকে এইচডি ভিডিও ফিচার নিয়ে আসবে বলে ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এছাড়াও ইমো রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগ চলতি বছর কাজ করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) নিয়ে। এ দুই প্রযুক্তির সমন্বয়ে ইমো অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সাহায্যে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করবে ইমো’র গবেষণা দল।
ইমো’র কমুনিকেশন্স বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার জাভিয়ের চু বলেন, “অনলাইন যোগাযোগের যুগে মানুষের জীবনকে আরও উন্নত এবং অনলাইন স্পেসকে সবার জন্য নিরাপদ করে তুলতে ইমো প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যেকোনো ধরণের যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমরা সবার প্রথম পছন্দ হয়ে উঠতে চাই। সামগ্রিকভাবে আমরা সাধারণ মানুষ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাবো। ২০২৪ সালে আমাদের বড় পরিকল্পনা রয়েছে এবং ইমো ব্যবহারকারীদরে জীবনে ইতবিাচক প্রভাব তৈরি করার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।”
নতুন বছরেও অসীম সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের জীবন আরও সমৃদ্ধ করতে অবদান রাখবে ইমো। এ বছর আরও ১০ মিলিয়ন নতুন ব্যবহারকারীকে একে অপরের সাথে সংযুক্ত করার ব্যাপারে আশাবাদী এই প্ল্যাটফর্ম। এই নতুন বছরে নিজেদের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে এবং অর্থবহ যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদেরকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ইমো।