পাহাড়ি অঞ্চলে ৩ যুগের বেশি সময় ধরে সাংবাদিক পেশায় জড়িত থেকে গণমানুষের কল্যাণে সংবাদ পরিবেশনের জন্য যুগরত্ন সাংবাদিক সম্মাননা পেলেন দৈনিক সচিত্র মৈত্রীর সম্পাদক ও প্রকাশক অধ্যাপক মো. ওসমান গণি। মফস্বল সাংবাদিকদের অন্যতম সংগঠন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের (বিএমএসএফ) উদ্যোগে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।
২২ ডিসেম্বর রবিবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে দুইদিন ব্যাপী আয়োজিত বিএমএসএফ-এর ৮ম জাতীয় বিজয় শোভাযাত্রা ও মিলনমেলা ২০২৪-এর প্রথম দিনে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।
সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ, সংগঠনটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু জাফরসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক মো. ওসমান গণি আশির দশক থেকে সংবাদকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। দেশের স্বনামধন্য সংবাদপত্রে বান্দরবান প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি নব্বইয়ের দশকে তিনি সচিত্র মৈত্রী নামে নতুন সাপ্তাহিক পত্রিকার প্রকাশনা ও সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে পত্রিকাটি বান্দরবানের একমাত্র দৈনিক পত্রিকা হিসেবে দীর্ঘদিন সংবাদ পরিবেশন করে। বর্তমানে ছাপানো পত্রিকার পাশাপাশি অনলাইনেও দৈনিক সচিত্র মৈত্রী পাহাড়,তথ্যপ্রযুক্তি, অটোমোবাইলসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদগুলো প্রচার করে আসছে। তিনি বান্দরবান প্রেসক্লাবের পাঁচ বারের নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বিএমএসএফ এর অনুষ্ঠানে দৈনিক সচিত্র মৈত্রীর সম্পাদকসহ আরো ১১ জনকে যুগরত্ন সাংবাদিক সম্মাননা দেওয়া হয়। এছাড়াও প্রয়াত চারণ সাংবাদিক রতন সরকার স্মৃতি সম্মাননা পেয়েছেন সারাদেশ থেকে ১৩ জন সংবাদকর্মী। দেশজুড়ে ১০জন সংবাদকর্মীকে ‘দেশ সেরা সংবাদ সম্মাননা’ এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনে হত্যার শিকার ৩ জন সাংবাদিককে মরণোত্তর সাংবাদিক সম্মাননা প্রদান করা হয়।
ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু জাফর বলেন, মফস্বল সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে বিএসএমএফ সবসময় সোচ্চার ছিল। ভবিষ্যতে আমাদের কাজের পরিধি আরো বৃদ্ধি পাবে। মফস্বল সাংবাদিকতাকে সমৃদ্ধ করতে আমরা এই অ্যাওয়ার্ড দিয়ে থাকি। অনতিবিলম্বের মফস্বল সাংবাদিকতার সমস্যাগুলো সমাধান করতে সরকারের আন্তরিক ভূমিকা রাখা উচিৎ। পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমগুলোকেও আমরা দায়িত্বপালনকালে মফস্বল সাংবাদিকদের স্বীকৃতি প্রদান করে ভুয়া সাংবাদিকদের থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করার আহ্বান জানাই। মফস্বল সাংবাদিকরাই খবরের প্রাণ। তাই এই সেক্টরকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সংশ্লিষ্ট সকলকে একসাথে কাজ করে যেতে হবে।
নতুন বছরের শুভকামনা জানিয়ে এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রথমদিনের কর্মসূচীর সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।