‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে কনট্যাক্ট সেন্টারের বিপিও খাতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘ডাক ও টেলিযোগাযোগ পদক-২০২৩’ অর্জন করেছে ‘ফিফোটেক’।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন ফিফোটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ হোসেন। তাঁর হাতে এ পুরস্কারটি তুলে দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
পুরস্কার অর্জনের পর তৌহিদ হোসেন বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার এ আয়োজনে ‘ডাক ও টেলিযোগাযোগ পদক’ অর্জন করায় আমরা সত্যিই গর্বিত। এ অর্জন গ্রাহকদেরকে আরো নিরবচ্ছিন্নভাবে সেবা প্রদানে ফিফোটেককে অনুপ্রেরণা জোগাবে। দায়িত্ব আরো বেড়ে গেল। আমরা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে আরো গতিশীল ও দায়িত্ববান হয়ে কাজ করার চেষ্টা করবো।” প্রসঙ্গত, ২০০২ সাল থেকে আইটি ও আইটিএস খাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্রাহকদের সেবা দিয়ে আসছে ফিফোটেক। রাজধানীর কারওয়ান বাজারস্থ ভিশন-২০২১ টাওয়ারে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয় অবস্থিত। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে চার শতাধিক কর্মী কর্মরত রয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) “ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়” ও তার বাস্তবায়ন সহযোগী ‘ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)’ আয়োজিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা-২০২৩’-এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিন দিনব্যাপী এই মেলায় ৫২টি প্যাভিলিয়ন এবং ৭৭টি স্টলজুড়ে বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করে। তন্মধ্যে বাংলাদেশের বিপিও/আউটসোর্সিং শিল্পের একক ও কেন্দ্রীয় বাণিজ্য সংস্থা ‘বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ কনট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো)’-এর প্যাভিলিয়ন থেকে অংশগ্রহণ করে চার বাক্কো সদস্য প্রতিষ্ঠান- ডিজিকন টেকনোলজিস লিমিটেড, ফিফোটেক, এরেনা ফোন বিডি ও ইননিড ক্লাউড। মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সাগ্রহে বাক্কোর স্টল পরিদর্শন করেন।
এছাড়াও সমাপনী অনুষ্ঠানে ‘ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ’-এর সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ‘বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, ‘জেডটিই করপোরেশন বাংলাদেশ’-এর এমডি লিউ লিয়াং এবং ‘ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি’ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।
সমাপনী অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ স্টল, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ খুদে শিক্ষার্থী এবং রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন খাতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য প্রথম বারের মতো ১৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয় ‘ডাক ও টেলিযোগাযোগ পদক’।