বাক্কো সচিবালয়ে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ এবং বাক্কোর মধ্যে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় । সভার শুরুতে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয় জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত সকল শহিদদের, স্মরণ করা হয় যারা অপশক্তির মুখোমুখি হয়ে আহত হয়েছেন এবং দেশের সেইসব সন্তানদের যারা এই বিপ্লবে অংশগ্রহণ করেছে । সভায় নবগঠিত বাক্কো কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে জুলাই-আগস্ট মাসে গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মৃতি সংরক্ষণ ও শহীদ পরিবারের সন্তানদের কর্মসংস্থান প্রদানের লক্ষ্যে গঠিত জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করা হয়।
বাক্কো সভাপতি তানভীর ইব্রাহীম বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক সমৃদ্ধশালী, বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে যারা আহত হয়েছেন তাদের পাশে দাঁড়াতে চায় বাক্কো । গণ-অভ্যুত্থানে আহতরা যেন পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে সেজন্য আমরা তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করতে চাই।”
সভায় বাক্কোর সাধারণ সম্পাদক ফয়সল আলিম বলেন, “গণ-অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছে্ন, আহত হয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন এবং দৃষ্টি শক্তি হারিয়েছেন তাঁরা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানের এই আত্মত্যাগকে আমরা বৃথা যেতে দেব না। বাক্কো পরিবার সবসময় তাঁদের পাশে থাকবে।”
সভায় ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের’ সাধারণ সম্পাদক মীর মাহবুবুর রহমান (স্নিগ্ধ) বলেন, “আমি আমার পেশাগত জীবনের শুরু থেকেই আউটসোর্সিং এর সাথে সম্পৃক্ত। আমি বিশ্বাস করি, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির অপার সম্ভাবনা রয়েছে, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আপনাদের এই উদ্যোগের প্রশংসা করছি।“
সভায় উপস্থিত ছিলেন বাক্কো পরিচালক আব্দুল কাদের, জায়েদ উদ্দীন আহমেদ, সায়মা শওকত, নির্বাহী পরিচালক লে. কর্নেল (অবঃ) মো. মাহতাবুল হক, পিএসসি এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ । বাংলাদেশকে একটি মুক্ত, সুরক্ষিত ও বৈষম্যহীন সমাজের পথে এগিয়ে নিতে একসঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করার মাধ্যমে সভার সমাপ্তি ঘটে।